South Dum Dum Municipality

নজরদারি চালাতে ড্রোন কেনার ভাবনা

ইতিমধ্যে পুর প্রতিনিধিরা নিজেদের ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর বাড়িয়েছেন। গত বছরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রোন ভাড়া করে জলা জায়গায়, পুরনো কারখানা এলাকায় মশার ওষুধ ছড়ানো হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৮:১২
Share:

দক্ষিণ দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

বছরের শুরু থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হলেও ইতিমধ্যেই এলাকায় ১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সামনে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তাই এ বার নজরদারিতে বাড়তি গুরুত্ব দিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। এলাকার কোথায় কোথায় জল জমছে, সে দিকে নজরদারি চালাতে ড্রোন কেনার কথা ভাবছে পুরসভা।

Advertisement

ইতিমধ্যে পুর প্রতিনিধিরা নিজেদের ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর বাড়িয়েছেন। গত বছরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রোন ভাড়া করে জলা জায়গায়, পুরনো কারখানা এলাকায় মশার ওষুধ ছড়ানো হয়েছিল। তার পরে সেই পথ ধরে পুরসভাও। পুর প্রতিনিধিদের একাংশের দাবি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হলেও বহুতলের ছাদ, জলা জায়গা, পরিত্যক্ত কারখানা এলাকায় পুরকর্মীদের অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই ড্রোনের মাধ্যমে জমা জল চিহ্নিত করা এবং প্রয়োজনে মশার ওষুধও স্প্রে করা সম্ভব। ঘটনাচক্রে গত বছর কলকাতা পুরসভা এই কৌশল অবলম্বন করেছিল। যদিও ড্রোন ভাড়া করার চেয়ে ড্রোন কিনে নিয়ে সেই কাজ করার পক্ষেই মত দিচ্ছেন পুর আধিকারিকেরা।

পুরসভা সূত্রের খবর, গত বছর দক্ষিণ দমদমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ জ্বর এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় আট জনের। পুরসভা সূত্রের খবর, গত বছর ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নজরে এসেছিল। তাই এ বার নজরদারির ফাঁক মেটাতে ড্রোন বিশেষ উপযোগী হবে বলেই মত পুর আধিকারিকদের। পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘গত বছর ড্রোন ভাড়া করে ব্যবহারে সাফল্য এসেছিল। এ বার নজরদারির জন্য ড্রোন কেনার কথা ভাবা হয়েছে। এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে নজরদারিতে আরও গতি বাড়বে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement