—প্রতীকী ছবি।
তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। বাতাসে শীতের আমেজ। তাপমাত্রার এই পতনের দিকেই আপাতত তাকিয়ে আছেন পুর কর্তৃপক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ। জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লে কমবে মশার উপদ্রব। সেই সঙ্গে কমবে ডেঙ্গিও। এ বছর এখনও ডেঙ্গির কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি দক্ষিণ দমদম পুর এলাকা। ছটপুজোর পরে ফের সংক্রমণের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা ফের কমেছে বলে খবর। কিন্তু প্রকোপ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
পুরসভা সূত্রের খবর, বুধবার দক্ষিণ দমদমে ১২ জনের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। কেন এমন হচ্ছে, সে বিষয়ে অন্ধকারে পুর প্রশাসন। এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচি, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা ও সচেতনতার প্রচার চলছে। তবু প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুরসভার উপরে নির্ভর না করে আপাতত তাঁরা তাপমাত্রা আরও কমার অপেক্ষায়।
চলতি বছরে শুধুমাত্র দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গি ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আট জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এক পুরকর্তার বক্তব্য, শীতের মরসুম শুরু হলেও ডেঙ্গির প্রকোপ পুরোপুরি কমেনি। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও ডেঙ্গি বিদায় নিয়েছে, এমনটা এখনই বলা যাবে না। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, ঘিঞ্জি এলাকায় খাল, জলাশয়, নির্মীয়মাণ বাড়ি, পরিত্যক্ত কারখানা ও গুদাম থাকায় জল জমার প্রবণতা বেশি। পরিচ্ছন্নতারও অভাব রয়েছে। তাই মশার বাড়বাড়ন্ত থেকে ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়াচ্ছে। পুরসভা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে। ডেঙ্গি রুখতে দীর্ঘমেয়াদি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই পুর এলাকার বাসিন্দাদের সচেতনতা নিয়েও অবশ্য বার বার প্রশ্ন উঠেছে। যে কথা মেনেও নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে, বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এ বছরে প্রতিটি ওয়ার্ডে লাগাতার মশা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সাফাইয়ের কাজ করা হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে লাগাতার কাজ চলছে। পুজোর মরসুমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে, এখনও ডেঙ্গির প্রকোপ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এর কারণ স্পষ্ট নয়। তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। আশা করা যায়, তাপমাত্রা আরও কমলে ডেঙ্গির প্রকোপ বন্ধ হবে। আগামী দিনে কী ভাবে আরও সফল ভাবে এই রোগের মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরির ভাবনা চলছে।