—প্রতীকী চিত্র।
বছরের প্রথম দিন থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে পথে নামতে চলেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
আজ, সোমবার থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণ এবং সমীক্ষার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। একই ভাবে, বিধাননগর পুর এলাকাতেও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলবে বলে ওই পুরসভা সূত্রের খবর।
বিধাননগর পুরসভার দাবি, ২০২৩ সালের শেষ সপ্তাহে এসে ডেঙ্গি মুক্ত হয়েছে ওই পুর এলাকা। অগস্ট থেকে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছিল। যা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ায় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ডেঙ্গি মুক্ত হয়েছে ওই পুর এলাকা। পুর প্রশাসনের দাবি, ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল। নতুন বছরে তাই শুরু থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে চাইছে পুরসভা।
সদ্য শেষ হওয়া বছরে বিধাননগর থেকে শুরু করে দক্ষিণ দমদমে কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দক্ষিণ দমদমে আট জন এবং বিধাননগরে এক জনের মৃত্যুও হয়েছিল। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। নতুন বছরে আগাগোড়া মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর বাড়ানো হবে। যদিও বিধাননগর থেকে দক্ষিণ দমদমের বহু বাড়িতেই জল জমার প্রবণতা দেখা যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। পুর এলাকার বিভিন্ন অংশে আবর্জনার স্তূপ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও দেখা যায়। সেই বিষয়েও পুরসভাগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে, বলছেন বাসিন্দারা।
একই ভাবে দক্ষিণ দমদমে গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার ডেঙ্গির প্রকোপ চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। ২০২৩ সালে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ জ্বর এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আট জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ডেঙ্গির এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে সচেতনতার অভাবকে তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি, তথ্য গোপনের প্রবণতাও সমস্যা বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ২০২৩-এর গোড়ায় দক্ষিণ দমদমের কিছু এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই একযোগে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার ওষুধ ছড়ানো এবং সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাসের দাবি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়। বাকি সময়েও সেই কাজে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সময় মতো যাতে তথ্য আসে, সেই দিকটি নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা ও রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হবে।