প্রতীকী ছবি।
জলাশয় বোজানোর অভিযোগে জনস্বার্থ মামলার গুঁতোয় অথৈ জলে দক্ষিণ দমদম পুরসভা!
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের ২৮ জুন শ্যামনগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯টি দাগে বিভক্ত মোট ১৫ বিঘা জমিতে একটি আবাসন গড়ে তোলার নকশা অনুমোদন করেন পুর কর্তৃপক্ষ। নকশায় চারটি দাগে (৭০৫০, ৭০৬০, ৭০৬১, ৭০৬৪) জলাশয়ের উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও পুরসভার আবাসনের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন জনৈক নারায়ণ সাহা-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেই মামলার জেরে বিপাকে পড়েছে পুরসভা। পরিস্থিতি এমনই যে, অস্বস্তি কাটাতে দু’পক্ষের বক্তব্য শুনতে বুধবার কাউন্সিলরদের নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকেন পুরপ্রধান।
এই মামলার আবেদনকারী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘‘আবাসন গড়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয়নি। অগস্টে পরচা তুলে দেখি, তখনও সরকারি নথিতে চারটি দাগে জলাশয়ের উল্লেখ রয়েছে।’’ এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাসিন্দারা। গত নভেম্বরে আদালতের নির্দেশে বিএলআরও যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেখানেও চারটি দাগে জলাশয় থাকার কথা বলা হয়। এর পরে পুর কর্তৃপক্ষকে তাঁদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এ দিন শুনানি শেষে পুরপ্রধান বলেন, ‘‘দু’পক্ষের বক্তব্যের সারমর্ম হাইকোর্টকে রিপোর্ট আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে শুনানির পরে একটা জিনিস স্পষ্ট, তথ্য গোপন করা হয়েছিল।’’ তথ্য গোপনের জন্য প্রোমোটারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পুরপ্রধান। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের প্রশ্ন, জলাশয় থাকা সত্ত্বেও নকশা অনুমোদন হল কী করে? তৎকালীন পুরপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, ‘‘পুরসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এখনই কিছু বলব না।’’ বর্তমান পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আগামিদিনে বড় জমিতে আবাসনের প্রস্তাব এলে বিএলআরও-র রেকর্ড আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।’’ তবে তাতেও জলাশয় বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ কতটা আটকানো যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন পুরকর্তারাই।’’