যদি মিস ডিভা ২০১৩ জেতেন তা হলে প্রথম কী করবেন?
আমার প্রথম গাড়িটা কিনবো।
কী আপনাকে সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত করে?
গতি।
উত্তরগুলো এসেছিল মিস ডিভা ২০১৩-র অন্যতম প্রতিযোগী সনিকা সিংহ চৌহানের মুখ থেকে। আর এই গতিই বড্ড তাড়াতাড়ি কেড়ে নিল তাঁকে।
কলকাতার মেয়ে সোনিকা সিংহ চৌহান। লা মার্টিনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে পাস করে ভর্তি হয়েছিলেন মাউন্ট কার্মেল কলেজে। ছোট থেকে খেলা, নাচ, গান নিয়ে মেতে থাকা সোনিকা জানতেনও না মা তাঁকে না জানিয়েই আবেদন পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন সানন্দা তিলোত্তমা ২০১০ প্রতিযোগিতায়। এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন সনিকা। জানতেনও না দ্বিতীয় রানার্স আপের মুকুটটি রয়েছে অপেক্ষায়।
এই সাফল্যই সনিকাকে এনে দেয় লাইমলাইটে। ধীরে ধীরে কলকাতা, মুম্বইয়ের র্যাম্পের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দেশের প্রায় সব প্রথম সারির ডিজাইনারদের শো-তেই দেখা গিয়েছে সনিকাকে। ২০১৩ সালে অংশ নেন মিস ডিভা প্রতিযোগিতায়। না জিতলেও পৌঁছেছিলেন প্রথম ১৪ জনের মধ্যে। মিস পপুলারিটি সাব কন্টেস্টও জিতেছিলেন। এরপর শেষ চার বছর মুম্বইতে কখনও মডেল, কখনও অ্যাঙ্কর, কখনও ভিজে-র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। ২০১৬ সালে একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের শো প্রো কাবাড্ডি লিগের উপস্থাপকও ছিলেন সনিকা। খুব কম বয়সেই জীবনে এসেছিল প্রচুর সাফল্য। যদিও, সনিকা জানিয়েছিলেন ভালবাসা আর সাফল্য দুটোই তাঁর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সনিকা ভালবাসতেন ঘুরে বেড়াতে।
আরও পড়ুন: গাড়ি দুর্ঘটনায় মডেলের মৃত্যু, আহত অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়
‘তোমার ভবিতব্যে যা রয়েছে তা ঘটবেই, কেউ তা আটকাতে পারবে না’-উদ্যমী জীবনের প্রেমী সনিকার এটাই ছিল প্রিয় ওয়ান লাইনার। নিজের ভবিতব্য আর কেই বা জানে। সনিকাও জানতেন না তাঁর হাতে সময় বড্ড কম। এই পৃথিবীতে তাঁর জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ২৮টি বছর।