ফাইল ছবি
বেহালায় অশান্তির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবান -সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। পেশাদার অপরাধীদের মতো বারবার মোবাইল ফোন, সিম বদল করেও শেষরক্ষা হয়নি। হাওড়ার জয়পুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মোবাইল ফোন ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রবিবারই তাঁদের আলিপুর পুলিশ আদালতে তুলে হেফাজতে নেবার আবেদন জানানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরই গাড়িতে করে বারাসত যান। সেখান থেকে ওড়িশার বালেশ্বরে পালিয়ে যান বাবান। সেখানে একদিন থাকার পর তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে খড়্গপুর চলে যান, সেখান থেকে আবার দিঘায় চলে আসেন তিনি। দিঘা একদিন থাকার পর তিনি হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় জয়পুরে চলে আসেন। সেখানে তাঁরা বন্ধুর এক ‘ফার্ম হাউসে’ ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এই পাাঁচদিন ধরে বেশিরভাগ সময় গাড়িতেই কাটিয়েছেন বাবান। বার দু’য়েক গাড়িও বদল করেন তিনি। পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য একবার ৪০৭ গাড়িও ব্যবহার করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা। মঙ্গলবার রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ইট ছোড়াছুড়ি এবং ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। অভিযোগ উঠেছে গুলি চলারও। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে আটকও করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বাবানকে দল থেকে বহিষ্কারও করে তৃণমূল।