২১ জুলাইয়ের জোর কদমে প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
ধর্মতলায় তৃণমূলের সভার জন্য আজ, শুক্রবার ছুটি দিয়েছে শহরের কয়েকটি স্কুল। কিছু স্কুল পুরো ছুটি না-দিলেও পড়ুয়াদের তাড়তাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, অধিকাংশ স্কুলই জানিয়েছে, এ দিন প়ড়ুয়াদের হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি থাকবে না।
বিভিন্ন স্কুলের বক্তব্য, তৃণমূলের সভার জেরে প্রতি বছরই এই দিনটিতে প্রবল যানজট হয়। স্কুল যখন ছুটি হয়, তার কাছাকাছি সময়ে শেষ হয় সভাও। যার জেরে রাস্তাঘাটে ভিড়ের চাপে হয়রান হতে হয় পড়ুয়াদের। তাই, একটি শিক্ষা দিবস নষ্ট হবে জেনেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
ছুটি দিয়েছে পার্ক স্ট্রিটের সেন্ট জেভিয়ার্স, এপিজে, সেন্ট জেমস, সেন্ট জোসেফ এবং লেনিন সরণির ইউনিয়ন চ্যাপেল স্কুল। এপিজে ২৯ জুলাই বদলি ক্লাস নেবে। তাদের সল্টলেকের স্কুলটিও ছুটি দিয়েছে। ইউনিয়ন চ্যাপেলের অধ্যক্ষা অ্যাঞ্জেলা ঘোষ জানান, পড়ুয়াদের ফিরতে অসুবিধা হবে। তাই তাঁরা ছুটি দিচ্ছেন।
বেশ কিছু স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। যেমন, পার্ক সার্কাসের ডন বস্কোর অধ্যক্ষ বিকাশ মণ্ডল জানান, পরীক্ষা আছে। কিন্তু ১২টার মধ্যেই যাতে সবাই বেরিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেন্ট লরেন্সে ছুটি হয় ৪টে নাগাদ। আজ ১২টায় ছুটি।
লা মার্টিনিয়ার কর্তৃপক্ষও নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেবেন। স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, ‘‘আমাদের ছুটি হয় একটা নাগাদ। সে দিন কিছুটা আগেই ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রাথমিক শাখায় আজ শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত রাখা হয়েছে। স্কুলের তরফে কৃষ্ণ দামানি জানিয়েছেন, উঁচু ক্লাসে ছুটি দেওয়া হয়নি। অভিভাবকেরা যদি মনে করেন, বাচ্চাদের পাঠাতে পারেন। ওই দিন কড়াকড়ি নেই।
হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি সামন্ত জানান, তাঁরাও স্কুল খোলা রাখছেন। তবে, অভিভাবকেরা চাইলে না-ও পাঠাতে পারেন। স্কুল চাপ দেবে না। লেক গার্ডেন্সের রামমোহন মিশন খোলা। তবে, পড়ুয়াদের আসা নিয়ে কড়াকড়ি নেই। অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘ফেরার সময়ে অনেকেই অসুবিধায় পড়ে।’’
স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী ভাবছে প্রশাসন? শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উত্তর, ‘‘এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।’’