সিঁথির মহিলার ঠিকানাও বেঠিক

প্রথমে পুলিশের কাছে ভুয়ো ঠিকানা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার আদালতে যে ঠিকানা দিয়েছিলেন ওই মহিলা, পুলিশ খুঁজতে গিয়ে দেখল সেটিও ভুয়ো!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৫
Share:

প্রথমে পুলিশের কাছে ভুয়ো ঠিকানা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার আদালতে যে ঠিকানা দিয়েছিলেন ওই মহিলা, পুলিশ খুঁজতে গিয়ে দেখল সেটিও ভুয়ো!

Advertisement

এই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই ৫৯ বছরের স্নেহময় দে-কে সিঁথি থানায় ডেকে জেরা করে পুলিশ ও জেরার মুখে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গত শনিবার সেই মহিলাই আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে তিনি যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, পুলিশ শ্যামপুকুরের সেই ডেরায় গিয়ে দেখে, সেখানে ওই নামে কেউ থাকেন না।

সোমবার মৃত স্নেহময়বাবুর স্ত্রী শিপ্রাদেবী জানান, রবিবার সকালে পুলিশ স্নেহময়বাবুর ভাইকেও এই তথ্য জানিয়েছে। থানায় ওই মহিলা যে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেখানে দেওয়া ঠিকানা ও ফোন নম্বরও ভুয়ো বলে জানতে পেরেছিল পুলিশ। শিপ্রাদেবী এই মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর প্রশ্ন, যে মহিলা আদালতে গিয়ে দিনে-দুপুরে আগাম জামিনের আবেদন করছেন, তাঁকে কেন পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না? পুলিশের দাবি, ওই মহিলার মোবাইল বন্ধ বলে তাঁর হদিস পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

২৬ ফেব্রুয়ারি এই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই থানায় ডেকে পাঠানো হয় স্নেহময়বাবুকে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহিলার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও মামলা দায়ের না করেই থানায় ডেকে স্নেহময়বাবুকে এক মহিলা অফিসার জেরা করেন। স্নেহময়বাবুর আত্মীয়দের অভিযোগ, সে দিন জেরার নামে যথেচ্ছ ‘অপমান’ করা হয় তাঁকে। তা সহ্য করতে না পেরেই থানায় ভিতরে লুটিয়ে পড়েন স্নেহময়বাবু। পরে হাসপাতালের পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরদিন সোমবার, থানায় গিয়ে নিজেরই এক দেওর, অভিযোগকারিণী ওই মহিলা এবং থানার মহিলা অফিসারের নামে অভিযোগ জানান শিপ্রাদেবী। এর পরেও মামলা শুরু করতে পুলিশ গড়িমসি করে বলে অভিযোগ। শেষে দিন তিনেক পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা শুরু হয়। সেই খবর পেয়েই গত সপ্তাহের শেষে আদালতে গিয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন ওই মহিলা।

শিপ্রাদেবীর কথায়, ‘‘এক দেওরের সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। তাই স্বামীকে শায়েস্তা করতে ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছিল। একে আমি কোনও দিনও দেখিনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement