প্রতীকী ছবি।
অসুস্থ ছিলেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই। দিন চার-পাঁচেক আগে মারা যান বৃদ্ধ। সোমবার ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করল গরফা থানার পুলিশ। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাদের কাছে খবর আসে, ৪৭/২ সেলিমপুর লেনে একটি চারতলা বাড়ির তেতলার একটি ফ্ল্যাটে এক বৃদ্ধা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পুলিশ পৌঁছে কবিতা গুপ্ত নামে বছর বাহাত্তরের ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তাঁকে উদ্ধারের সময়েই জানা যায়, কবিতাদেবীর স্বামী সুধীন গুপ্ত দিন চার-পাঁচ আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। তার পর থেকে একাই থাকতেন কবিতাদেবী। তাঁর দেখভাল করতেন পরিচারিকা। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে এসেছেন ওই দম্পতির ছেলে। কিন্তু মা-বাবার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল না বলেই জেনেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, সম্পর্ক ভাল না-থাকায় কবিতাদেবী ও সুধীনবাবুর ছেলে এসে বাবার পারলৌকিক কাজ করলেও ওই ফ্ল্যাটে থাকছিলেন না। এমনকি ছেলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, ওই বৃদ্ধ দম্পতি তাঁদের ফ্ল্যাটটি পরিচারিকার নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন।