শহরের বেশ কিছু বাজারে দোকানপাট খোলা রাখার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে

আবার ভবানীপুর ও পোস্তায় একসঙ্গে সব দোকান খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। মূলত ভিড় আটকাতে সব জায়গাতেই বিক্রেতারা এক দিন অন্তর দোকান খুলতে পারছেন। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, একে ক্রেতার অভাব, তার সঙ্গে করোনার ভয়— সেই কারণে ব্যবসায়ীরাই নিজেদের দোকান খোলা রাখার সময় কমিয়ে দিয়েছেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০২:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় বা জমায়েত যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। যে কারণে শহরের বেশ কিছু বাজারে দোকানপাট খোলা রাখার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার যদুবাবুর বাজার ও আজাদগড় বাজারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি বাজারে এই নিয়ম চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে বড়বাজার ও পোস্তার মতো পাইকারি বাজারেও বিকেল চারটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দোকানপাট। আবার ভবানীপুর, কালীঘাট, কলাকার স্ট্রিট ও মহাত্মা গাঁধী রোডের মতো বিভিন্ন এলাকায় হকারদের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি মেনে এক দিন অন্তর এক-এক জন বিক্রেতাকে বসতে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শহরের যে সব এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে, সেখানে কোনও দোকানপাট খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য বহু জায়গায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় কমাতে জোড়-বিজোড় পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ওই নিয়মে একটি সারিতে এক নম্বর এবং তিন নম্বর বিক্রেতা যে দিন বসবেন, সে দিন দুই ও চার নম্বর বিক্রেতা বসবেন না। বাজার কমিটিগুলিকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বাজার দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট জ়োনে তো বাজার এমনিতেই বন্ধ।

কিন্তু তার বাইরে যে সমস্ত এলাকা রয়েছে, সেখানকার বাজার কমিটিকে অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তারা ইচ্ছে করলে স্থানীয় বরো কর্তৃপক্ষ এবং পুর কোঅর্ডিনেটরদের সাহায্যে নির্দিষ্ট সময় বাজার বন্ধ রাখতে পারেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের করোনা টিকা অক্টোবরেই? সেই চেষ্টাই চলছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা

আজাদগড় বাজার কমিটির সহকারী সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেই আমরা আপাতত সপ্তাহের প্রথম তিন দিন বাজার পুরো বন্ধ রাখছি। সপ্তাহের বাকি দিনগুলি ভোর ৫টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে।’’

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলি বা মধ্য কলকাতার বিভিন্ন বাজার বেলা ১২টা-১টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও বিকেলেও বন্ধ রাখা হচ্ছে বাজার। ল্যান্সডাউন বাজার, কালীঘাট বাজার, আজাদগড় বাজার, কসবা বাজারের পাশাপাশি মুচিবাজার, কাদাপাড়া বাজার এবং বেলেঘাটার জোড়া মন্দির বাজার শনি ও রবিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া, ওই বাজারগুলি আপাতত সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আবার ভবানীপুর ও পোস্তায় একসঙ্গে সব দোকান খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। মূলত ভিড় আটকাতে সব জায়গাতেই বিক্রেতারা এক দিন অন্তর দোকান খুলতে পারছেন। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, একে ক্রেতার অভাব, তার সঙ্গে করোনার ভয়— সেই কারণে ব্যবসায়ীরাই নিজেদের দোকান খোলা রাখার সময় কমিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘একটু বাড়াবাড়ি হচ্ছে, আমরা কি চাকর!’, রাজ্যপালকে পাল্টা নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

পুরসভার ১০ নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘জীবাণুমুক্ত করার জন্য টানা তিন দিন বন্ধ রাখার পরে বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ শহরতলির আজাদগড় বাজার। তবে আগামী রবিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকছে বিক্রমগড় বাজার।’’ বিজয়গড় এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন হওয়ায় সেখানকার বাজার আপাতত বন্ধই রাখা হচ্ছে। অন্য দিকে, গড়িয়াহাট বাজারে সব কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement