ঠাকুরের কী ইচ্ছে হল বলুন তো? হাসিখুশি ছেলেটা এ ভাবে চলে গেল? বিশ্বাস করতে পারছি না।
এই তো মার্চের এক তারিখ দেখা হল ওর সঙ্গে। একই ফ্লাইটে ঢাকায় গেলাম আমরা। এত ভাল মানুষ ছিল। বড়দের শ্রদ্ধা ভক্তি করত। দোহার দলটাকে নিয়ে লোকসঙ্গীতকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল! সবচেয়ে ভাল আমার যেটা লাগত, কোনও বিদেশী যন্ত্র ব্যবহার করত না। সব এখানকার যন্ত্র। নিজে ইম্প্রোভাইসও করেছিল। খুব ভালবাসতাম ওকে। ওর বউও খুব মিষ্টি মেয়ে। ভাল কাজ করার জন্য পারফেক্ট জেন্টলম্যান ছিল কালিকা।
আরও পড়ুন: গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত দোহারের কালিকাপ্রসাদ
ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, ভয় হচ্ছে, মিস করছি কালিকা…
মৃত্যুর গান, দুঃখের গান— সব ছাপিয়ে এখন কালিকার মুখই ভেসে উঠছে
আমার এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না
মাটিতে পা রেখেই শহরের মঞ্চেও লোকগান শোনাতে চেয়েছেন কালিকাপ্রসাদ
আরও একটা বড় কাজ করে গিয়েছে কালিকা। কত নেপথ্য শিল্পীকে যে ও তুলে এনেছিল— ভাবা যায় না। লোকগান নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ ছিল। কিন্তু কালিকার পারফরম্যান্সে কোথাও অথেনটিসিটি নষ্ট হয়নি। লোকগানের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।