—প্রতীকী চিত্র।
কেউ ছাদে তৈরি করেছে বাগান। কেউ ক্লাসঘরের দেওয়ালে উল্লম্ব ভাবে ছোট ছোট গাছ লাগিয়ে চেষ্টা করেছে, ঘরে যাতে সরাসরি সূর্যের আলো না ঢোকে, তা নিশ্চিত করতে। অনেকে আবার স্কুলের দেওয়ালের পাশে বড় গাছ লাগিয়ে স্কুল ভবন এবং ক্লাসঘরকেও সরাসরি রোদের হাত থেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী গ্রীষ্মের মরসুমে ক্লাসঘর ঠান্ডা রাখতে এ ভাবেই গাছকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে বেশ কিছু সরকারি স্কুল।
যেমন, সরশুনার চিলড্রেন’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফর গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা শর্বরী সেনগুপ্ত বললেন, ‘‘স্কুলের ছাদে বাগান বানিয়ে মরসুমি আনাজের চাষ এক দিকে যেমন মিড-ডে মিলের চাহিদা পূরণ করছে, অন্য দিকে ছাদে সবুজের আস্তরণ থাকায় সূর্য রশ্মি সরাসরি ক্লাসঘরে আসতে পারছে না। যার জন্য ছাদের ঠিক নীচে থাকা ঘরগুলি কিছুটা ঠান্ডা থাকছে।’’ সন্তোষপুরের ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা সর্বাণী সেন জানান, তাঁদের স্কুলের ছাদে তৈরি বাগান এবং দেওয়ালের উল্লম্ব বাগান ক্লাসঘরগুলিকে অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। আগামী গ্রীষ্মের কথা ভেবে আরও গাছ লাগাতে উদ্যোগী তাঁরা।
স্কুলের ছাদে বড় বড় ড্রামে গাছ লাগিয়েছে ভিআইপি নগর হাইস্কুল। প্রধান শিক্ষক দীপেনকুমার সাউ বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের ছাদে পাম, নারকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। এর ফলে তীব্র গরমে ছাদের ঠিক নীচে থাকা ক্লাসের পড়ুয়ারা স্বস্তি পাবে।’’ টালিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা সিংহ বলেন, ‘‘স্কুলের মাঠে ও ক্লাসঘরের বাইরের দেওয়ালের পাশে বড় গাছ লাগানো হয়েছে। এতে ক্লাসে সরাসরি রোদ আসা ঠেকানো যাচ্ছে।