ফল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল করা হয়েছে। ছবি: এএফপি
ফলের দোকান আরও বেশি সময় খুলে রাখতে দেওয়ার দাবি তুললেন ব্যবসায়ীরা। এই মর্মে ফল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে বিশেষ কড়াকড়ি চলছে। আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো ফলের দোকান খুলে রাখার সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে ফলের দোকান। শহরের ফল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এত কম সময়ের মধ্যে যেমন সবাই ফল কিনতে পারছেন না, তেমনই কম বিক্রি হওয়ায় গরমে অনেক ফল নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। ফল বিক্রেতাদের দাবি, মিষ্টির দোকানের মতো বেশি ক্ষণ খুলে রাখার অনুমতি তাঁদেরও দিতে হবে। এ ছাড়াও, তাঁদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিকিৎসকেরা বেশি করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে এবং সাধারণ মানুষকে ফল কেনার সুযোগ দিতে দোকান খুলে রাখার সময়সীমা বাড়ানো হোক।
কলকাতা ফ্রুট মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সাহিদ আহমেদ খান জানান, এখন আপেল, মুসাম্বি লেবু বাদে প্রায় সমস্ত ফলের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে রয়েছে। মরসুমি ফল, বিশেষ করে আমের ফলন এ বার খুব ভাল হওয়ায় দাম কমে গিয়েছে। সাহিদ জানান, এখন পাইকারি বাজারে এক কিলো হিমসাগর আমের দাম এক কিলো চন্দ্রমুখী আলুর থেকে কম। সাহিদ বলেন, “গত বছরে এই সময়ে হিমসাগর আমের দাম খোলা বাজারে ৭০ টাকার মতো ছিল। এখন সেটা খোলা বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বার প্রচুর ফলন হয়েছে। চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু লকডাউনের জন্য আম বিক্রির পর্যাপ্ত সময় নেই। বেশি ফলন হওয়ার জন্য আম নষ্টও হয়ে যাচ্ছে।”
বিক্রেতাদের মতে, এখন লিচু, পেয়ারারও চাহিদা রয়েছে। গড়িয়াহাট বাজারের কয়েক জন ফল বিক্রেতা জানান, এখন প্রায় সব ধরনের ফলের চাহিদাই ভাল। অনেক বিক্রেতা ঠেলাগাড়ি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ফল বিক্রি করছেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ১০টার মধ্যেই বিক্রির কাজ শেষ করতে হচ্ছে।
মেছুয়াপট্টির কয়েক জন ফল ব্যবসায়ী জানান, তাঁদের পাইকারি বাজারে বিক্রিবাটা ১০টার কিছু পর অবধি চললেও লাভ হচ্ছে না। কারণ খুচরো বিক্রেতারা সেই ফল বিক্রি করতে পারছেন না। সাহিদ বলেন, “চাহিদা সত্ত্বেও লোকসান হচ্ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল করে ফলের দোকান বেশি ক্ষণ খুলে রাখার আর্জি জানিয়েছি।”