ট্যাক্সি থামিয়ে তল্লাশি। শনিবার। — নিজস্ব চিত্র
হোক না বিদেশ, তবুও গা ঘেঁষে থাকা প্রতিবেশী দেশের রাজধানীতে জঙ্গি হামলার উত্তাপ এ বার কলকাতার গায়েও। শুক্রবার রাতে ঢাকার গুলশনে হামলার পরেই মহানগর জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা, নিরাপত্তার কড়াকড়ি। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলছে। শহরের বিভিন্ন হোটেলে কারা রয়েছেন, তা-ও সরেজমিন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। লালবাজার সূত্রে খবর, জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতাও।
এ ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব শনিবার দুপুরেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের এক পোড়খাওয়া অফিসার। কলকাতা থেকে ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে ঢাকার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।’’
দেশের যে কোনও প্রান্তে জঙ্গি হামলা হলে মহানগরী হিসেবে কলকাতাতেও নিরাপত্তার কড়াকড়ি হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঢাকায় হামলার পরে কড়াকড়ি আরও বেশি। পুলিশের অনেকেই বলছেন, বিদেশি শহর হলেও বাঙালির কাছে ঢাকা ও কলকাতা হল দুই বাংলার দুই রাজধানী। দুই শহরের মানুষজনও বাঙালি। ফলে এ বিষয়টি ঠিক সে ভাবে বিদেশি শহরে হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি থানাকে নিজের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও এলাকায় তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে। সব হোটেলেই নজরদারি বেড়েছে। প্রয়োজনে হোটেলে রেজিস্টার ও আবাসিকদের পরিচয়পত্রও চাওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মহানগরের বিভিন্ন সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও নজরদারি বেড়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে। আজ, রবিবার ইদের কেনাকাটার বাজারে ভিড় হবে। ফলে বিভিন্ন বাজার, শপিং মলেও নিরাপত্তা কঠোর হচ্ছে। থাকবে বাড়তি পুলিশবাহিনীও।