বরাহনগর স্টেশনে মেট্রোর মহড়া। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগোল। গত ২৭ ডিসেম্বর ওই পথে প্রথম বার মহড়া-দৌড় করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। তার পরে বৃহস্পতিবার ফের সফল ভাবে মহড়ার কাজ সম্পূর্ণ করলেন তাঁরা। এ দিন সকাল ১১টা ১৯ মিনিটে নোয়াপাড়া থেকে একটি নন-এসি রেক দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। বরাহনগর স্টেশন হয়ে সেটি ১১টা ৫৬ নাগাদ দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছয়। ফিরতি পথে দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলা ১২টা ৩২ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে নোয়াপাড়া পৌঁছয় ১২টা ৫৮ মিনিটে। কলকাতা মেট্রোর ট্র্যাফিক তত্ত্বাবধানে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিনের মহড়ায় থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ করছে কি না, খতিয়ে দেখা হয়। ট্রেনের দুলুনি কেমন, স্টেশনে ঢোকার সময়ে প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের মধ্যে কতটা ফাঁক থাকছে— পরীক্ষা করেন আধিকারিকেরা। এমনকি স্টেশন থেকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের পথে থাকা ডিসপ্লে বোর্ড এবং স্বয়ংক্রিয় গেট ঠিক মতো কাজ করছে কি না, দেখা হয় তা-ও। পরীক্ষা করা হয় লিফট এবং এসক্যালেটর।
যোগাযোগের সুবিধা এবং প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বরাহনগর স্টেশনটি বড় করে তৈরি করা হয়েছে। দু’টি স্টেশনেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ধাঁচে আধুনিক ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে কাচের লিফট, এসক্যালেটর এবং মানানসই আলো।
আরও পড়ুন: আড়াই মাস পর কুড়ির নীচে মৃত্যু, দৈনিক আক্রান্ত হাজারেরও কম
আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণের অভিযোগ মিথ্যা, হলফনামায় স্বীকার করল যোগী সরকার
তবে নতুন দুই স্টেশনের কোনওটিতেই প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর থাকছে না। যদিও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এই সুবিধা রয়েছে। জোকা-বি বা দী বাগ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোতেও তা থাকার কথা। এ দিনের মহড়া সম্পর্কে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরও কয়েকটি মহড়া হতে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারকে পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।’’