সংগ্রহ করা হয়েছে গণস্বাক্ষর। প্রতীকী চিত্র।
গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে জনমত গঠনের পাশাপাশি নিউ টাউন শহরকে পঞ্চায়েত রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে বাসিন্দাদের একটি সংগঠন, ‘নিউ টাউন ফোরাম ও নিউজ়’। সেটির চেয়ারম্যান সমরেশ দাস জানান, আইনি পথে না হাঁটলে নিউ টাউনে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। রবিবার নাগরিকদের থেকে সই সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে।
বাসিন্দারা জানান, পুরনো নথি ঘেঁটে তাঁরা দেখেছেন, এনকেডিএ তৈরির সময়েই নিয়ম হয়েছিল যে, শহর নিউ টাউনে তারাই পরিষেবা দেবে। এমনকি, শহর নিউ টাউনকে গ্রেটার কলকাতার অধীনেও আনা হয়েছে। সমরেশের কথায়, ‘‘তার পরেও কী ভাবে এখানে পঞ্চায়েত শাসনের প্রবেশ ঘটতে পারে? এখানে এই মুহূর্তে নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের শহর রাজনীতি-মুক্ত। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সংস্থাগুলিকে এই নিয়ে নোটিস পাঠাব। তার পরে মামলা দায়ের করব।’’
উল্লেখ্য, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা নিউ টাউনের শহর এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ বুথ বিভাজনের মাধ্যমে পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, এ বার নিউ টাউনে আটটি পঞ্চায়েতের আসন হয়েছে। বুথ হয়েছে ১২টি। অন্য দিকে, বাসিন্দাদের একটি বড় অংশই শহরের বুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মানতে নারাজ। যদিও বিজেপি এবং সিপিএম— দুই বিরোধী দলই ইতিমধ্যে আটটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবার আবাসিকদের অন্য একটি সংগঠন ‘নিউ টাউন সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটি’ মনে করছে, ভোট হলে কয়েক জন প্রতিনিধি পাওয়া যাবে যাঁরা দৈনন্দিন পরিষেবার কাজের জন্য পঞ্চায়েত কিংবা এনকেডিএ-র সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবেন। এই সংগঠনের সম্পাদক সমীর গুপ্ত বলেন, ‘‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সাধারণ মানুষকে পুর পরিষেবার জন্য এনকেডিএ-তে ছুটতে হবে না। কারণ এখানে অধিকাংশ বাড়িতেই প্রবীণ নাগরিকদের বসবাস। তবে শহরে যেন রাজনৈতিক রেষারেষি প্রাধান্য না পায়, প্রশাসনকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’’