বাঁ দিকে, শিক্ষক-প্রার্থীদের অবস্থানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ডান দিকে, গ্রুপ ডি চাকরি-প্রার্থীদের নিয়ে অঞ্জলি কংগ্রেস নেতাদের। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর মধ্যেই ময়দান চত্বরে একাধিক মঞ্চে চলছে চাকরি-প্রার্থীদের অবস্থান ও আন্দোলন। নিয়োগের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মঞ্চ ছেড়ে উঠতে নারাজ। অষ্টমীর দিন সকাল থেকে অবস্থানরত চাকরি-প্রার্থীদের সঙ্গে কাটালেন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ধর্মতলার আশেপাশে এবং ময়দানে গান্ধী মূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে অবস্থান চলছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মেধা-তালিকায় থেকেও নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থী থেকে শুরু করে সরকারের চতুর্থ শ্রেণির চাকরি-প্রার্থীদের। প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা ও মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ের নেতৃত্বে আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য, চন্দন ঘোষ চৌধুরীদের নিয়ে সোমবার সকালে একটি প্রতিনিধিদল সোমবার সকালে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি-প্রার্থীদের নিয়ে গিয়েছিল নিউ মার্কেটের একটি পুজো মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ানোর জন্য। তাঁদের এই অবস্থান ৪৯ দিনে পড়েছে। কংগ্রেস নেতা সৌম্য বলেন, ‘‘এই সরকারের দুর্নীতি বাংলার মানুষের লজ্জা! এর প্রতিকার চাই। ন্যায্য চাকরি দিতেই হবে। রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এই সব ছেলে-মেয়েদের পরিবারকে রক্ষা করতেই হবে। পুজোর মধ্যেও এঁরা অন্ধকারে আছেন, মানবিক কারণেই আমরা এসেছি।’’
এসএসসি-র চাকরি-প্রার্থীদের অবস্থান পড়েছে ৫৬৭ দিনে। ‘রাইট টু এডুকেশন ফোরামে’র ডাকে অধ্যাপকদের একটি দল এ দিন দুপুরে গিয়েছিল অবস্থান-মঞ্চে। ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তীও গিয়েছিলেন প্রতিনিধিদল নিয়ে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চঞ্চলবাবু বলেন, ‘‘কারও চাকরি চলে যাক চাই না, এই কথা বলে সরকার দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।’’ বিকালে ওই চাকরি-প্রার্থীদের কাছে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, দলের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষেরা। দুর্নীতির প্রতিবাদে ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘অন্যায়, অবিচার, মিথ্যাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ের ময়দানে থাকা যৌবনকে আমাদের কুর্নিশ!’’ দশমীর দিন চাকরি-প্রার্থীদের মঞ্চে যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পুজোর শুরুতে সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিরোধীরা রাজনীতি করতেই অভ্যস্ত। তবে রাজ্য সরকার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিষয়টি দেখছে। সব রকম চেষ্টা চলছে জট খোলার।’