এনআরএস-এ পাওয়া মৃত কুকুর ছানারা।
তদন্ত রিপোর্টে ভিন্ন পরিণতির অপেক্ষায় দু’পক্ষ। কিন্তু সময়সীমা পেরোনোর পরেও এনআরএসে কুকুর-কাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশ না করা নিয়ে দু’পক্ষই একমত। দু’পক্ষেরই দাবি, লোকসভা ভোটের সময়ে ঝুঁকি এড়াতেই রিপোর্ট প্রকাশে দেরি হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে দুই নার্সিং পড়ুয়া মৌটুসি মণ্ডল এবং সোমা বর্মণের বিরুদ্ধে। মাস দেড়েকের কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। অভিযুক্তেরা গ্রেফতারের পরে জামিন পেয়ে ক্লাসে যোগ দিতে গেলে তাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। চাপান-উতোরের এই পর্বে ২৪ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গড়ে স্বাস্থ্য ভবন। ৬০ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়াকে সাসপেনশনে রাখা হয়।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ২৪ মার্চ সেই মেয়াদ পেরোলেও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। নার্সদের একাংশের দাবি, ওই দিন সোমা ও মৌসুমি ক্লাসে যোগ দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেন কর্তৃপক্ষ। দুই নার্সিং পড়ুয়াকে জানানো হয়, তাঁদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশিকা আসেনি। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কারা প্রকৃত দোষী, সে বিষয়ে নির্ভুল রিপোর্ট প্রকাশে সময় লাগবে। আরও কিছু সাক্ষীর বক্তব্য শুনতে হবে। তাই এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।’’
সোমবার ‘নার্সেস ইউনিটি’র সম্পাদক পার্বতী পাল বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হল না। রিপোর্ট প্রকাশ হলে দু’টি ছাত্রীর জীবন নষ্ট করার দায় স্বাস্থ্য ভবনের উপরে বর্তাবে। তাই এক মাস সময় পিছিয়ে দেওয়া হল।’’ পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে প্রান্তিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদেরও ধারণা, স্পর্শকাতর এই বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশে দেরির কারণ ভোট। তবে বিচার না পেলে ফের আমরা আন্দোলনে নামব।’’