Jadavpur University Student Death

১২টি প্রশ্নের উত্তর ৩১টি ফাইলে পাঠানো হয়েছে ইউজিসিকে, জানালেন যাদবপুরের রেজিস্ট্রার

যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, আগে ‘প্রাথমিক রিপোর্ট’ পাঠানো হয়েছিল ইউজিসিকে। শুক্রবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৩১টি ফাইলে ইউজিসিকে ‘প্রথম রিপোর্ট’ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৭
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ১২টি প্রশ্নের উত্তর ৩১টি ফাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। রেজিস্ট্রার জানান, এর আগে ‘প্রাথমিক রিপোর্ট’ পাঠানো হয়েছিল ইউজিসিকে। তবে শুক্রবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইউজিসিকে ‘প্রথম রিপোর্ট’ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর পরেই যাদবপুরের মেন হস্টেলে সিনিয়র ছাত্রদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। গত রবিবার এ প্রসঙ্গে ইউজিসির তরফে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। যাদবপুর কর্তৃপক্ষ সোমবার সেই রিপোর্ট পাঠানোর পর দাবি করেছিলেন, তাঁদের পাঠানো তথ্যে ‘সন্তুষ্ট’ ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির প্রতিনিধি দল আসার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয় ওই ‘সন্তুষ্টি’র কারণেই। তবে বৃহস্পতিবার ফের যাদবপুর কর্তৃপক্ষের কাছে ১২টি প্রশ্নের জবাব-সহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পাঠিয়ে ইউজিসি জানিয়ে দেয়, আগের পাঠানো রিপোর্টে তারা মোটেও ‘সন্তুষ্ট’ নয়। এই প্রশ্নগুলির জবাব, তথ্য-সহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। নইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল কমিশন। ইউজিসির নির্দেশ মোতাবেক সেই রিপোর্ট ৩১টি ফাইলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই রিপোর্টে কি সন্তুষ্ট হবে ইউজিসি? প্রশ্নের উত্তরে রেজিস্ট্রার বলেন, “সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।” ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টকে ‘দায়সারা’ বলে এ নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রারকে লেখা একটি চিঠিতে ইউজিসির তরফে ১২টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্রোশিওরে’ র‌্যাগিং-বিরোধী হেল্পলাইন এবং র‌্যাগিং-বিরোধী সংগঠনের নম্বর রয়েছে কি না, নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের হস্টেলের আলাদা ব্লকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি না ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উত্তর জানতে চেয়েছিল ইউজিসি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement