চলতি মাসেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসার কথা ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর সদস্যদের। ঠিক তার আগে মনস্তত্ত্ব বিভাগের শিক্ষাকর্মীদের হাজিরার খাতাই উধাও হলে গেল সায়েন্স সেক্রেটারির ঘর থেকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতির হিসেব রাখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর কথা ভেবেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে তা চালুও হয়ে গিয়েছে। যেখানে উপস্থিতিকে সরকার এত গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে হাজিরার খাতা উধাও হওয়া নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সোমবার রাজাবাজার ক্যাম্পাসে সায়েন্স সেক্রেটারির ঘরে নির্দিষ্ট জায়গাতেই ছিল হাজিরার খাতা। শিক্ষাকর্মীরা বিকেলে স্বাক্ষর করে বেরিয়ে যান। মঙ্গলবার তাঁরা এসে দেখেন, উধাও হয়ে গিয়েছে গোটা খাতাটিই! এর পরেই ক্যাম্পাস জুড়ে তল্লাশি শুরু করেন কর্মীরা। কিন্তু খাতা মেলেনি। খবর যায় সেক্রেটারি এবং উপাচার্যের কাছে। অভিযোগ দায়ের করা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, এই বছরের জানুয়ারি থেকে কর্মীদের উপস্থিতির উল্লেখ রয়েছে ওই খাতায়। তার উপর ভিত্তি করেই বার্ষিক মূল্যায়ন হওয়ার কথা। কিন্তু গোটা খাতা উধাও হয়ে যাওয়ায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন কর্মীদেরই একাংশ। যদিও কোনও রকম ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন ‘কলকাতা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনা আগে হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।’’ উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘কী ভাবে এমন হল, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করছে।’’