সচেতনতায়: হেলমেটহীন এক বাইক আরোহীকে বোঝাচ্ছে স্কুলপড়ুয়ারা। শনিবার, একবালপুরে। ছবি: সুমন বল্লভ
ফের ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারী বেপরোয়া এক স্কুটির ধাক্কায় জখম হলেন এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার রাতে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, তপন সাহা নামে ওই পুলিশকর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত স্কুটিচালক ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী আদালতে জানান, অভিযুক্ত ইচ্ছাকৃত ভাবেই ওই পুলিশকর্মীকে কাজে বাধা দিয়ে তাঁকে জখম করেছেন। পরে বিচারক ধৃতকে তিন দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত হেলমেট ছাড়াই স্কুটি নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিক থেকে পার্ক সার্কাস সাত মাথার দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে ডিউটি করছিলেন তপনবাবু। হেলমেট ছাড়া দেখে ইজাজকে থামাতে যান তিনি। অভিযোগ, গতি বাড়িয়ে ইজাজ তাঁর স্কুটিটি নিয়ে ধাক্কা মারেন বেনিয়াপুকুর থানার ওই কনস্টেবলকে। মাটিতে পড়ে যান ওই পুলিশকর্মী। পরে ইজাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত সপ্তাহে ওই জায়গা থেকেই কয়েকশো মিটার দূরে বেকবাগানে ঠিক একই ভাবে বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীকে আটকাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। ওই অভিযুক্ত অবশ্য এখনও পলাতক। লালবাজার জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের তল্লাশিতে ১৬১২টি মোটরবাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হেলমেট না পরার জন্য পুলিশ জরিমানা করেছে ৮৭০ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৬৩টি বাইকও। ওই তল্লাশির সঙ্গে হেলমেটের ব্যবহার এবং গাড়ির গতি নিয়েও এ বার সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে লালবাজার।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকে চারু মার্কেট থানার পুলিশ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবং পিআর লেনের সংযোগস্থলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চালকদের সচেতন করতে প্রচার চালায়। আইন মেনে চলা চালকদের হাতে গোলাপ তুলে দেয় স্কুলের পড়ুয়ারা।
গত মাসে ওই এলাকায় মোটরবাইক আরোহীদের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ঊষসী সেনগুপ্ত। শনিবারও একবালপুরে পুলিশের তরফে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয় স্কুলপড়ুয়াদের দিয়ে। সেখানে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে।