রত্না চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক খেয়ে মেয়রের পদও ছেড়ে দিয়েছেন। কাউন্সিলরের পদও ছেড়ে দেবেন বলে নিজেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে এ বার স্বাগত জানালেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার সকালে কলকাতা পুরসভার ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান শোভন-পত্নী। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। শুভেচ্ছা জানানোর পর তিনি বলেন, “উনি যদি কাউন্সিলারের পদ ছেড়ে দেন, তা হলে স্বাগত।”
মেয়রের পদে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা হলেও, আগামী ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে কাউন্সিলরের পদে লড়াই করে জিতে আসতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই শোভন বলেছিলেন, আমি কাউন্সিলরের পদ থেকেও পদত্যাগ করতে রাজি আছি।
আরও পড়ুন: ‘শোভনদার জীবন গুছিয়ে দিয়েছি আমি’, বললেন বৈশাখী
এ দিন শুভেচ্ছা জানিয়ে ভাবী মেয়রকে বলেন, “শোভনের অসম্পূর্ণ কাজ আপনাকেই শেষ করতে হবে।”
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
দু’জনের মধ্যে এই সাক্ষাত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র হওয়ার পর বেশ কিছু কারণে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। মত পার্থক্যও ছিল। এক সময়ে তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়েও ঠেকেছিল। তবে এ বিষয়ে দু’জনে কখনও মুখ খুলতে চাননি। শোভন মেয়রের পদ ছাড়তেই সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গিয়েই শুভেচ্ছা জানালেন রত্নাদেবী। বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী ববিদাকে যে মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাতে একশো শতাংশ তিনি সফল। পুরসভার কাজেও তিনি সমান ভাবে সাফল্য পাবেন।”
আরও পড়ুন: রত্নার পাশে শোভনের পরিবার
এর পাশাপাশি মেয়র হিসাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাজেরও প্রশংসা করেছেন। বলেন,“ওঁর সময় অনেক কাজ হয়েছে। শহর পরিষ্কার হয়েছে। বাইরে থেকে লোক এলে এখন ভাল বলে। আশা করব ববিদাও এর থেকেও ভাল করবে। পরবর্তী কালে ববিদার কাজ দেখেই তৃণমূল ফের পুরসভার ক্ষমতায় আসবে।”
কলকাতার রাজনীতি, কলকাতার আড্ডা, কলকাতার ময়দান, কলকাতার ফুটপাথ - কলকাতার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।