প্রতীকী ছবি।
অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে আজ, সোমবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ় অ্যাকাডেমিতে।
করোনার জন্য প্রায় ১১ মাস স্কুল বন্ধ থাকার পরে চলতি মাসে এ রাজ্যের স্কুল আংশিক খুললেও মেলেনি হস্টেল খোলার অনুমতি। এর ফলে অসুবিধায় পড়েছেন রাজ্যের দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা।
রাজ্য সরকার অনুমতি দিয়েছে, স্কুলে পঠনপাঠন চলবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। যে সব স্কুলে দৃষ্টিহীনরা পড়ে, সেখানেও গিয়েছে এই নির্দেশ। অথচ ভিন্ জেলা থেকে আসা অনেক দৃষ্টিহীন পড়ুয়াই ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে। তা ছাড়া তাদের যাতায়াতের সমস্যাও ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করার অন্য কারণ। কিন্তু ক্লাস শুরুর কথা বললেও ছাত্রাবাস চালুর নির্দেশ রাজ্য না দেওয়ায় তারা পঠনপাঠন শুরু করতে পারছে না। যে কারণে প্রতিটি জেলায় থাকা দৃষ্টিহীনদের স্কুল এখনও কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে।
রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার দফতরের অধীনে এই সব স্কুল। স্কুলগুলির তরফে সংশ্লিষ্ট দফতর ও স্কুল শিক্ষা দফতরেও ছাত্রাবাস চালুর আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও উত্তর আসেনি। তাই আর অপেক্ষা না করে ছাত্রাবাসে পড়ুয়াদের রাখার বিষয়ে অভিভাবকদের সম্মতি নিয়েই শুরু হচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ় অ্যাকাডেমি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, স্কুলের শতকরা ৯০ জন পড়ুয়া রাজ্যের দূর-দূরান্ত থেকে আসে। এমনকি ভিন্ রাজ্য থেকেও সেখানে অনেকে ভর্তি হয়। এদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা সুবিধাজনক নয়। দীর্ঘ লকডাউনে তাদের লেখাপড়া বিশেষ কিছু এগোয়নি বলেই জানাচ্ছে স্কুল। তাই আর দেরি করতে চাননি কর্তৃপক্ষ।
স্কুল সূত্রের খবর, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৭০ জন। এ দিকে স্কুলের ছাত্রাবাসে রয়েছে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষের মতে, তাই ৭০ জন পড়ুয়া কোভিড-বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখেই ওই ছাত্রাবাসে
থাকতে পারবে।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ় অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ রবিবার বলেন, “হস্টেল না খুললে স্কুল খোলার এই নির্দেশ আমাদের কাছে অর্থহীন হয়ে পড়েছিল। এ দিকে ক্লাস চালু করা ওদের জন্য খুবই জরুরি ছিল। আবেদন করেও সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দেশ না পেয়ে আমরা বাধ্য হয়েছি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অভিভাবকদের সম্মতি নিতে। তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের ছাত্রাবাসে রাখতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।”