স্মরণ: রমেশ বেহেলের পারলৌকিক কাজে উপস্থিত আত্মীয়েরা। শনিবার, বালিগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
ঘটনার তিন দিন পার হলেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলায় অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। শনিবার বিকেলে বাবার শোকসভায় পুলিশকে বিঁধলেন মৃতের কন্যা পূজা বেহেল কপূর। তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগ, ‘‘আমার বাবাকে খুন করেছেন এক জন আইনজীবী। তাঁকে তিন দিন পরেও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। আসলে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরার সাহস পাচ্ছে না।’’
শনিবার বিকেলে বালিগঞ্জের একটি ভবনে মৃত রমেশ বেহেলের শোকসভায় প্রায় হাজার খানেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। রমেশবাবুর অপমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় শোকসভায় উপস্থিত অনেকেই পুলিশের সমালোচনা করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভবানীপুর থানা এলাকার বকুলবাগান রোডে নিজের বাড়ির কাছে গাড়িতে বসেছিলেন রমেশ বেহেল (৬৪)। পিছন থেকে নাগাড়ে হর্ন বাজাতে থাকা একটি গাড়ি রমেশবাবুর গাড়িতে ধাক্কা মারে। অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ করায় রমেশবাবুকে চড় মেরে ঠেলে রাস্তায় ফেলে দেন পিছনের গাড়ির চালক। মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। রাতেই মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এ দিন শোকসভায় মৃতের স্ত্রী ঋতু বেহেলকে দেখা গেল সারা ক্ষণ কেঁদে চলেছেন। রমেশবাবুর মেয়ে পূজা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘শুনেছি অভিযুক্তের দাদা কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তা। তাঁকে এক অতি প্রভাবশালী নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন বলেও শুনেছি। অভিযুক্তের গাড়িটিও থানার সামনে রাখা আছে। অথচ পুলিশ তিন দিন পার হওয়ার পরেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারল না। পুলিশের ভূমিকা আমাদের কাছে সন্দেহজনক লাগছে।’’
যদিও এ প্রসঙ্গে ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ তার কাজ ঠিকই করছে।’’