Cannon

স্ট্র্যান্ড রোডে কামান তুলতে ‘আপত্তি’ রেলকর্তাদের, কাজ বন্ধ সোমবার পর্যন্ত

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় কামান তুলে আনার কাজ। এ দিন কর্মকাণ্ডের সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন বন্দুক ও কামান বিশেষজ্ঞ অমিতাভ কারকুন, পুলিশ এবং সিইএসসি-র কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ০৭:২১
Share:

স্ট্র্যান্ড রোডের ফুটপাতে থাকা এই কামান তোলা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের ফেয়ারলি প্লেসের অফিস লাগোয়া ফুটপাতে কামান তোলা নিয়ে বিতর্কের জেরে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ রইল আগামী সোমবার পর্যন্ত। ওই দিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রেলের কর্তা, পুলিশ, সিইএসসি-র সঙ্গে রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল ও অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায়ের বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কী ভাবে ওই কামানটিকে মাটি থেকে তোলা হবে।

Advertisement

বহু বছর ধরে ফেয়ারলি প্লেস সংলগ্ন স্ট্র্যান্ড রোডের ফুটপাতে দেখা যেত কামানের একটি মুখ। সেটি মাটিতে প্রোথিত ছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল এবং অফিসিয়াল ট্রাস্টির নজরে আসে বিষয়টি। এর পরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় সেই কামান তুলে আনার কাজ। এ দিন সেই কর্মকাণ্ডের সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন বন্দুক ও কামান বিশেষজ্ঞ অমিতাভ কারকুন, পুলিশ এবং সিইএসসি-র কর্মীরা। দুপুর ২টো পর্যন্ত পাঁচ ফুটের মতো গর্ত খোঁড়ার কাজ হয়েও যায়। বিশেষজ্ঞেরা জানান, কামানটি মাটির নীচে আরও পাঁচ ফুট গভীরে প্রোথিত থাকতে পারে।

গোলমাল দেখা দেয় এর পরেই। দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেলের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, এই খোঁড়াখুঁড়ি যেহেতু ফেয়ারলি প্লেসের রেলের ভবন লাগোয়া অঞ্চলে হচ্ছে, তাই কাজ শুরুর আগে তাঁদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কারণ, মাটিতে এমন খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রেলের পুরনো ভবনের ভিত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই এ দিন কামান তোলার কাজ বন্ধ রাখতে বলেন তাঁরা।

Advertisement

এর পরেই ওই রেলকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিপ্লব। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মেয়রের অনুমতি নিয়ে, সিইএসসি-র সহযোগিতায় এই কামান তোলার কাজ করছিলাম। সোমবার বৈঠকের পরে রেলকর্তারা আরও এক বার সকলের সঙ্গে এলাকাটি দেখতে চেয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করা যাবে।’’

কামান বিশেষজ্ঞ অমিতাভ জানান, কামান তুলে আনার জন্য যেখানে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল, সেটি রেলের জায়গা নয়। তাই অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তিনি আরও জানান, এই কামানটির ঢালাইয়ের গঠনের সঙ্গে ব্রিটিশদের তৈরি কামানের ঢালাইয়ের গঠনের মিল রয়েছে। তাই এটিও ব্রিটিশদের তৈরি হতে পারে। তবে পুরোপুরি মাটি থেকে তুলে আনার পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে তবেই কামানটির প্রকৃত বয়স বোঝা যাবে। যদিও কামানটির আকৃতি দেখে তা মাঝারি আকারের বলেই জানাচ্ছেন অমিতাভ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement