-ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহের ৬০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ আচমকা ফেটে যাওয়ায় গত রবি এবং সোমবার জলে ভেসেছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর।
মঙ্গলবার সেই জমা জলের দুর্ভোগ অনেকটা কাটলেও হাসপাতালের আশপাশের কিছু রাস্তায় এখনও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। আজ, বুধবার বেলার মধ্যে সেই জল নেমে যাবে। কিন্তু ৬০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপের ছিদ্র দিয়ে যে পরিমাণ জল বেরিয়ে মাটির নীচে জমা হয়েছে, তা কোথায় ফেলা হবে, সেটা নিয়ে রয়ে গিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
এর পাশাপাশি জল জমার সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, আর জি কর সংলগ্ন পাইপ ফেটে আগেও বিপত্তি হয়েছিল। সেই সময়ে অস্থায়ী ভাবে সেটি মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় এর স্থায়ী সমাধান জরুরি। তার জন্য আগামী শনি এবং রবিবার টালা পাম্পিং স্টেশন থেকে জল সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু মঙ্গলবার এক নির্দেশিকায় পুর কর্তৃপক্ষ জানান, নাগরিক দুর্ভোগের আশঙ্কায় জল বন্ধ থাকবে শুধু শনিবার। রবিবার সকাল ছ’টা থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
আরও পড়ুন: এক লক্ষ টাকায় ‘বিক্রি’ তরুণী, উদ্ধার রাজস্থান থেকে
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক জানান, পাইপ ফেটে বেরোনো যে পরিমাণ জল ভূগর্ভে জমা হয়েছে, তা বার না করা পর্যন্ত পাইপলাইনের মেরামতির কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সেই জল ফেলার জন্য আশপাশের রাস্তায় কয়েকটি গর্ত খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই এলাকাটি পুরসভার ১ নম্বর বরোর অধীন। বরো কোঅর্ডিনেটর তরুণ সাহা বলেন, ‘‘নীলমণি মিত্র রো এবং ওলাইচণ্ডী রোডের কিছু জায়গায় গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। পাইপলাইন মেরামতি শুরু করার আগে মাটির নীচে জমে থাকা জল বার করতে হবে।’’ পুর আধিকারিকেরা জানান, এই পাইপলাইন দিয়ে ২৪ ঘণ্টা শহরের বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ করা হয়। সেই কারণে হঠাৎ করে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: দুর্ভোগ কমলেও জমা জল ফেলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
পুরসভা সূত্রের খবর, শনিবার সকালের পরে কাশীপুর, বেলগাছিয়া থেকে শুরু করে শ্যামবাজার, মানিকতলা, শিয়ালদহ, জোড়াবাগান, কসবা, বেলেঘাটা, বড়বাজার, গিরিশ পার্ক, মৌলালি, মল্লিকবাজার, পার্ক সার্কাস-সহ শহরের বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সরবরাহ ব্যাহত হবে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এবং ক্যামাক স্ট্রিট অঞ্চলেও। এ ছাড়া সল্টলেক এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার অধীন যে সব এলাকায় টালা পাম্পিং স্টেশন থেকে জল যায়, সরবরাহ বিঘ্নিত হবে সেখানেও।