কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
সাত বছরেও গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারেনি বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এই গাফিলতির ব্যাখ্যা দিতে এ বার কলকাতা হাই কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বিধাননগরের নগরপালকে। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী সোমবার নগরপালকে কোর্টে হাজির হয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আইনজীবীদের পর্যবেক্ষণ, কোন আইনবলে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর না করে ফেলে রাখা হয়েছে, সেটাই জানতে চাইতে পারে কোর্ট।
আদালতের খবর, সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক মহিলা খোরপোশ চেয়ে মামলা করেছিলেন। আলিপুর আদালত তাঁর স্বামীকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন না করায় ২০১৬ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পুলিশ সেই পরোয়ানা কার্যকর করেনি। ইতিমধ্যে সুচরিতার স্বামী বিদেশে চলে যান। অভিযোগ, সেই তথ্য জানার পরে পুলিশ অভিবাসন দফতরে দায়সারা একটি চিঠি পাঠিয়ে থেমে যায়। কার্যত কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা। এর পরেই সুচরিতা মামলা করেন। তাঁর আইনজীবী সাবির আহমেদ বলেন, ‘‘পুলিশ কোনও কাজ করেনি। অথচ, আইন অনুযায়ী তাদের পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।’’
পুলিশের এই গাফিলতি নিয়েই বিধাননগরের নগরপালের রিপোর্ট চেয়েছিলেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়। এ দিন সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। তবে নগরপালের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি কোর্ট। তার পরেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলেন বিচারপতি।