—ফাইল চিত্র।
কুকুরছানা পিটিয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নার্সিং পড়ুয়াকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ পৌঁছল স্বাস্থ্য ভবনে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন পশুপ্রেমীরা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, পশুপ্রেমীদের কথা তাঁরা শুনেছেন। এর পরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালাতে থাকেন পশুপ্রেমীরা।
সম্প্রতি ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (এন আর এস)-এর দুই নার্সিং পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। একটি ভিডিয়োর সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হওয়ায় তাঁরা জামিন পান। এর পরে ওই দু’জনকে বহিষ্কারের দাবিতে এন আর এস-এ বিক্ষোভ দেখান পশুপ্রেমীরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি দাবি করে এ দিন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রায় ১০০ জন পশুপ্রেমী। দুপুর দু’টো নাগাদ তাঁরা ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যায়। এর পরে তাঁরা রাস্তায় বসে পড়েন। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ চললেও পরিস্থিতি ঘোরালো হয়নি। রাস্তায় যান চলাচলও স্বাভাবিক ছিল।
দুপুরের পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন অজয়বাবু। পরে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি এমনিতে বিচারাধীন। আমরাও খতিয়ে দেখছি। সব দিক দেখে যা করার করা হবে। তার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ প্রান্তিক চট্টোপাধ্যায় নামে এক পশুপ্রেমীর দাবি, ‘‘হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ভবন কিছু করছে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধীও স্বাস্থ্য ভবনে ফোন করেছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’