TET

শিক্ষক নিয়োগে আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে কেন? প্রশ্ন বিচারপতির

টেটের খাতা (ওএমআর শিট) নষ্ট করার অভিযোগের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:০৪
Share:

টেট নিয়ে মামলায় আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

টেটের খাতা (ওএমআর শিট) নষ্ট করার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই মামলার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে মোট ১২ লক্ষের বেশি ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ পেয়েছে হাই কোর্ট। এই প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আইন মেনেই কি নষ্ট করা হয়েছিল ২০১৪ সালের টেট ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে? কী ভাবেই বা নষ্ট করা হয়েছে। সেখানে কার নির্দেশ রয়েছে, এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে সিবিআই। তাদের এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১ নভেম্বর।

পাশাপাশি মঙ্গলবারই পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকি, তদন্তে সহযোগিতা না করলে সিবিআই চাইলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যেই মানিককে সিবিআই দফতরে যেতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার পায় সিবিআই। পরে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নিয়োগপত্র-সহ যাবতীয় নথি হাতে পায় সিবিআই। সংশ্লিষ্ট মামলায় একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। এ বার উত্তরপত্র-বিতর্কে পদক্ষেপ করল আদালত।

এর আগে সোমবার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে আরও ৩,৯২৯ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পর এখনও যে শূন্যপদগুলি রয়ে গিয়েছে, সেই পদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে, সব নথি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১১ নভেম্বর। ওই দিনই প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদকে জানাতে হবে, আদালতের নির্দেশের পর নতুন কারা কারা চাকরি পেলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement