নির্যাতিতা মহিলা। ছবি: সংগৃহীত।
বেশ কিছু দিন ধরেই দিদির শারীরিক গঠনে একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছিলেন। আর সেটা দেখেই সন্দেহ হয় বোনের। শেষ পর্যন্ত তিনিই রহস্যভেদ করেন।
জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে ভয় দেখিয়ে ওই তরুণীর মানসিক ভারসাম্যহীন দিদিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে তাঁর দিদির উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন বাড়ির পাশের এক মন্দিরের পুরোহিত।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা হামলা চালান ওই পুরোহিতের উপর। মারধর করা হয় তাঁকে। ভাঙচুর করা হয় তার ঘরও। পরে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে ওই অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে ‘হেনস্থা’, ধৃত হেলমেটহীন আরোহী
বেহালার অজন্তা সিনেমা হলের কাছে ওডিআরসি কোয়ার্টারের পিছনেই রয়েছে ওই মন্দির। তার পাঁচিল ঘেঁষেই ১০ নম্বর বস্তি। সেখানে থাকেন ওই যুবতী। তাঁর বিয়েও হয়েছিল। কিন্তু, পরে মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্বামী তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। এ দিন ওই যুবতীর বোন বলেন, “মন্দিরের পাশেই পুকুরে স্নান করতে যেত দিদি। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে ওই পুরোহিত।” তাঁর দাবি, ওই যুবতী দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে ওই পুরোহিত তাঁর দিদিকে ভয় দেখায়, যাতে সে কাউকে কিছু না বলে। সেই সময় গোটা ঘটনা আড়াল থেকে শুনে ফেলি আমি।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘দিদিকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় ওই পুরোহিত। তাই সে গোপন রেখেছিল গোটা বিষয়টা।’’
আরও পড়ুন: শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আরও সাহসী শহর
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা অভিযুক্ত পুরোহিত উপেন্দ্র পাঠককে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন। নির্যাতিতার পরিবারকে অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)