—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিম্নচাপ এবং অতিবৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফুলের চাষে ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দুর্গাপুজোর ফুলের বাজারেও। বাজারে পদ্ম-সহ বিভিন্ন ফুল ও তার মালার দাম বেড়েছে। আপাতত যা পরিস্থিতি, কালীপুজো পর্যন্ত ফুলের ঊর্ধ্বমুখী দাম বিশেষ নামবে না বলেই জানাচ্ছেন ফুলচাষিরা।
শুক্রবার ছিল ষষ্ঠী। কাল, রবিবার অষ্টমী। ওই দিন পদ্মফুলের চাহিদা প্রতি বারেই সব থেকে বেশি থাকে। চাষিরা জানাচ্ছেন, অষ্টমীর পুজোর জন্য প্রতি বছরই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত এক কোটি পদ্মের বরাত আসে। কলকাতা-সহ বহু জায়গায় পাইকারি বাজারে প্রতিটি পদ্মফুল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রজনীগন্ধা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, বেল ফুল ১১০০ টাকা, জুঁই ফুল ১২০০ টাকা, লাল গাঁদা ২০০ টাকা ও হলুদ গাঁদা ২৩০ টাকা দরে বিকোচ্ছে। খোলা বাজারে ওই দাম আরও বেশি বলেই দাবি ফুলচাষিদের।
প্রথমে তাপপ্রবাহ, পরে নিম্নচাপ, এই দুইয়ের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ফুলের চাষ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
‘সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েকও বলছেন, ‘‘অতিরিক্ত গরমে ও টানা বৃষ্টিতে এবং পরবর্তী কালে মেঘলা আবহাওয়ার জন্য রাজ্যে ফুলের উৎপাদন মার খেয়েছে। জেলার বিভিন্ন ব্লকের ফুলবাগানে জল জমে ফুলের চাষ ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে দুর্গাপুজোর মরসুমে ফুলের জোগানে টান পড়েছে। তার জেরে ফুলের দামও বেড়েছে।’’
ফুল সংরক্ষণের জন্য এ রাজ্যে উপযুক্ত হিমঘর নেই। এই সমস্যা চিরকালীন। তা-ও সব ধরনের কাঁচা দ্রব্য যে সব জায়গায় মজুত করা হয়, তেমন হিমঘরেই পদ্ম-সহ অন্য ফুল সংরক্ষণ করা হয়। চাষিরা জানাচ্ছেন, এ বছর এমনিতেই পুজো দেরিতে। ইতিমধ্যেই শিশির পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতেও পদ্মের চাষ নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া, পুজোর খুব কাছাকাছি সময়ে অধিক বৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্য ফুলের চাষও। সব মিলিয়ে এ বার ফুল সে ভাবে সংরক্ষণও করা যায়নি। যে কারণে দাম অনেকটা বেড়ে রয়েছে।