ফাইল চিত্র।
হিন্দু হস্টেল নিয়ে যাবতীয় বিক্ষোভ-আন্দোলন এত দিন সীমাবদ্ধ ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মধ্যে। মঙ্গলবার, আন্দোলন শুরুর দেড় মাসের মাথায় পথে নামলেন বিক্ষোভকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের ছাত্রী-আবাসে যাঁরা থাকেন, দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরাও তাতে শামিল হলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে ধর্মতলা পর্যন্ত যান। হিন্দু হস্টেলের রাঁধুনি-সহ যে আট কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরও মিছিলের পুরোভাগে হাঁটতে দেখা যায়।
হিন্দু হস্টেলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে, এই দাবি নিয়ে শুরু হয়েছিল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। পরে সেই তালিকায় যোগ হয় আরও কিছু দাবি। হস্টেলে রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কেন বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তোলেন আবাসিকেরা। দাবি উঠেছে কর্মী-সংখ্যা বাড়ানোরও।
এ দিন বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শীর্ষ আধিকারিক কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে আসছেন না। ফলে চাইলেও পড়ুয়ারা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারছেন না। এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চাই। কিন্তু উপাচার্য এবং অন্য আধিকারিকেরা আসছেন না।’’ আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। তা-ও হয়নি। পার্থবাবু অবশ্য এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘কারা হিন্দু হস্টেলে রান্না করবেন, কারা করবেন না— সেটা ছাত্র আন্দোলনের বিষয় হতে পারে না।’’
এ দিন মিছিলে অংশ নেওয়া এক ছাত্র বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী ঠিক বলছেন না। রান্নার ওই কর্মীরা বহু বছর ধরে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে ওঁদের বসিয়ে দিতে পারেন না।’’