নৌকোতেই আগমন। বুধবার, গঙ্গায় তোলা। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তর শহরতলি
বরাহনগর লেকপল্লি
আমাদের পুজোর এ বার ২৭তম বছর। ঘরোয়া পরিবেশে সাবেক পুজো। প্রতিমাও সাবেক। তিন দিন ধরে চলবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বেলঘরিয়া মানসবাগ
৬৮তম বছরে আমাদের মণ্ডপে কাঠের গুঁড়ো, আঠা, সরকাঠি দিয়ে মহাভারতের নানা ঘটনা তুলে আনা হয়েছে। এ ছাড়াও থাকছে পিপলির কাজ, উল, সরা, ঘড়া, কুঁজোর সা়জ। বাহারি আলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিমা।
বেলঘরিয়া বাণী মন্দির
খড়, তুষ, ধান দিয়ে তৈরি হচ্ছে সাঁচী স্তূপ। গৌতম বুদ্ধের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তুষের মডেল দিয়ে। প্রতিমাতেও থাকছে বৌদ্ধ ধর্মের ছোঁয়া। মণ্ডপের সামনে থাকবে কাগজের মণ্ড দিয়ে তৈরি বুদ্ধের ধ্যানরত মূর্তি।
বেলঘরিয়া জাগরণী সঙ্ঘ
আমাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার আদলে। মণ্ডপে কাপড়ের ব্যবহার করা হচ্ছে না। ভিতরে থাকছে বাঁশ ও বেতের নানা মডেল। সঙ্গে কৃষ্ণনগরের সাবেক প্রতিমা। বিশেষ আকর্ষণ আলোকসজ্জা।
বরাহনগর কলাকার পাড়া
আমাদের ৬৬তম বছরের ভাবনা ‘অশুভ শক্তির নিধনে নারী শক্তি’। মণ্ডপে ঢোকার মুখে দেখা যাবে ফাইবারের তৈরি মহিষাসুরমর্দিনী। দু’টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে থাকা পাহাড়ের ভিতরে থাকবেন দেবী।
নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড
২৬তম বছরে মণ্ডপের সামনের জলাশয়টি সাজানো হচ্ছে জয়সলমিরের গাদিসার লেকের অনুকরণে। চলবে রাজস্থানি গানবাজনা। মণ্ডপ তৈরি করছি রাজস্থানের স্থাপত্য ও শিল্পের মিশেলে। প্রতিমাও রাজস্থানি ঘরানার।
লেক ভিউ পার্ক
আয়না, ক্রিস্টাল দিয়ে সাজানো হবে মণ্ডপের বাইরের অংশ। কাচে আলো ফেলে ভিতরে তৈরি হবে মায়াবি পরিবেশ। দেবী পদ্মে আসীন। দেবীর দশ হাতেই থাকবে পদ্মের কুঁড়ি।
অমৃতনগর সর্বজনীন
ওড়িশার ধবলগিরির আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমা সাবেক। উদ্বোধনের দিন রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণের আয়োজন।
নওদাপাড়া যুবক সঙ্ঘ
সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। পুকুরের মধ্যে তৈরি হয়েছে দেবী চৌধুরাণীর বজরা। সঙ্গে সাবেক প্রতিমা। মণ্ডপ জুড়ে থাকবে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।
ফরোয়ার্ড কলোনি
আমাদের ৩২তম বছরের পুজোর ভাবনায় স্থান পেয়েছে সনাতন ধর্ম। থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাটি, চট, রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন মডেল। প্রতিমা সাবেক।
বরাহনগর ফ্রেন্ডস
আমাদের স্থায়ী মণ্ডপে বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে অজন্তা-ইলোরার গুহাচিত্র। প্রতিমা সাবেক। মণ্ডপের বাইরে থাকছে হোগলা পাতার কারুকাজ।