ফাইল চিত্র।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা ও কাঠ ব্যবহার করে আগুন জ্বালানো যাবে না। অতীতে দূষণ কমাতে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে, উপরন্তু অন্য সব ধরনের পরিবেশ-বিধিও লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি যেমনটা দেখা গিয়েছিল সেখানে গঙ্গাসাগর মেলার পুণ্যার্থীদের শিবির চলাকালীন।
পরিবেশকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, যত্রতত্র জঞ্জাল, প্লাস্টিকের স্তূপ, গাছের গুঁড়ি, অবরুদ্ধ নিকাশি নালা— সব মিলিয়ে শহরের ‘ফুসফুস’ হিসাবে পরিচিত ময়দানের অবস্থা বেশ খারাপ। এমনিতে ময়দান দেখাশোনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর, পরিষ্কারের দায়িত্ব রাজ্য পূর্ত দফতরের এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের। কিন্তু কোনও পক্ষই নিজেদের কাজ ঠিক মতো করছে না, ফলে ময়দানে ক্রমবর্ধমান দূষণ, এমনটাই অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের।
এক পরিবেশবিদের কথায়, ‘‘শহরের সবুজ বলতে যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে, তা এই ময়দানই। অথচ সেই সবুজ সংরক্ষণের বিন্দুমাত্র উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। যে কেউ এক দিন ময়দান ঘুরে দেখলেই বুঝতে পারবেন কী অবস্থা!’’
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত আবার জানাচ্ছেন, অতীতে ময়দান নিয়ে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে সেগুলি পালন করা হলেও তার পর আবার যে কে সেই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দৈনন্দিন পরিবেশ-বিধি ভাঙা তো হচ্ছেই, পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় রাজনৈতিক বা অন্য কারণে জমায়েত হলে। গঙ্গাসাগর মেলার শিবিরেই সবাই দেখেছেন সেখানে কী অবস্থা।’’