প্রতীকী ছবি।
পরিবারের কেউ কোভিড প্রতিষেধক নেওয়ার সময়ে কোনও ভুল তথ্য দিলে বা বার বার বলার পরেও দ্বিতীয় ডোজ় নিতে না এলে গৃহকর্তাকে গ্রেফতার করবে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও করা হবে।
বিভিন্ন রাজ্যে করোনা ফের মাথাচাড়া দেওয়ায় জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে রাজ্য। তাই নড়ে বসেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। হাওড়া জেলায় পরিবার-ভিত্তিক কোভিড প্রতিষেধকের তথ্য সংগ্রহ করতে আজ, মঙ্গলবার থেকেই আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার ফর্ম বিলি করবেন। ওই ফর্মে পরিবারের সদস্যদের কোভিড প্রতিষেধক নেওয়া সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গৃহকর্তাকে দিতে হবে। কোনও মিথ্যা তথ্য দিলে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়ায় এখনও পর্যন্ত কোভিড প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিয়েছেন ৯০ শতাংশ মানুষ। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ় হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশের। প্রশাসনের বক্তব্য, হাওড়া পুর
এলাকা ও জেলার থেকে খবর আসছে, দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্য বার বার ফোন করলেও অনেকে আসছেন না। অনেকে আবার দুর্ব্যবহারও করছেন বলে অভিযোগ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে হাওড়া শরৎ সদনে জেলা পরিষদের সাধারণ সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকের পরে সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কোভিডকে গুরুত্ব দিয়ে ১৪টি ব্লকে ১৪টি অ্যাম্বুল্যান্স ও শববাহী গাড়ি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষেধক নেওয়ায় জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘‘হাওড়া জেলায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দার প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় এবং ৪০ শতাংশ বাসিন্দার দ্বিতীয় ডোজ় হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ় শেষ করার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে সন্ধ্যার পরেও প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রতিষেধক না নিলে বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসা হবে।’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যসচিব জেলার সব পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ় নেননি, তাঁদের খুঁজে বার করে প্রতিষেধক দিতে হবে। কেউ নিতে না চাইলে পুলিশকে জানানো হবে।’’