—ফাইল চিত্র।
যন্ত্রের চোখে ধরা পড়েনি খুনি বা সন্দেহভাজন। তাই এলাকাবাসীদের চোখকেই ‘পাখির চোখ’ করে তদন্তে এগোতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ঘটনার কিনারা করতে চলতি সপ্তাহেই পরিদর্শন করবে ফরেন্সিক এবং ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসকদের একটি দল। ঘটনার পরেই ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছিল।
গত ২৪ নভেম্বর সকালে গার্ডেনরিচ থানার রামনগর মোড়ে কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরো অফিসের সামনের একটি নালা থেকে উদ্ধার হয় সরফরাজ আলম (১৮) নামে এক যুবকের দেহ। রাজাবাগানের বাসিন্দা ওই যুবক তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও যুবকের কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও মৃত্যুর কোনও কারণ বলা হয়নি। এর পরেই পরিবারের তরফে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই যুবকের মৃত্যু-রহস্যের কিনারা না হওয়ায় পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা শুরু করে। তাতে সরফরাজকে বিচালিঘাট থেকে গার্ডেনরিচ রোড হয়ে কাচ্চি সড়ক মোড় পর্যন্ত হেঁটে যেতে দেখা যায়। এর পরের সিসি ক্যামেরায় আর ওই যুবককে দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ জানায়, কাচ্চি সড়ক মোড় থেকে রামনগর মোড়ের ঘটনাস্থলের মধ্যের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বারবার। কিন্তু সেখানে ওই যুবককে দেখা যাচ্ছে না। সে দিন এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে প্রচুর জনসমাগম হয়। যা বাধা সৃষ্টি করছে সরফরাজকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে। লালবাজার সূত্রের খবর, ভিড়ের মাঝে খেই হারিয়ে ফেলার পরে তদন্তকারীরা ঠিক করেন ওই ভিড়কেই কাজে লাগাবেন তদন্তের স্বার্থে। যুবককে চিহ্নিত করতে না পারলেও ভিড়ের মধ্যে থাকা এলাকাবাসীরা চিহ্নিত হয়েছেন। সেই তালিকা ধরেই ডাকা হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবে তাতেও কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ।
কী ভাবে ওই যুবক ভিড়ের মাঝে নালায় পড়ে গেলেন কিংবা তাঁকে খুন করা হল, তা নিয়ে জট কাটাতে পুলিশকর্তারা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসকদের ঘটনাস্থল ফের পরিদর্শন করতে অনুরোধ করেন। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে রহস্যের জট খুলতে পারে। সেই আশাতেই বিশেষজ্ঞদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’’