গত জুনে ঘটনার পর এন আর এস হাসপাতালে রজনী সাউ (বাঁ দিকে)। (পাশে) উপর থেকে পড়ে পায়ে চোট পেয়েছে বিশাল সাউ। (ডান দিকে) শিবম সাউ। —ফাইল চিত্র।
বড়বাজারে একটি বহুতলের পাঁচতলা থেকে দুই শিশুকে ছুড়ে ফেলার ঘটনায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট দিল পুলিশ। সরকারি কৌঁসুলি দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানান, ওই ঘটনার ৮৩ দিনের মাথায় শুক্রবার চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী অফিসার।
আদালত সূত্রের খবর, চার্জশিটে ওই বাড়ির বাসিন্দা শিবকুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১৪ জুন বিকেলে ১১৩, নেতাজি সুভাষ রোডের একটি পাঁচতলা বাড়ির বারান্দা থেকে শিবকুমার ওই দুই শিশুকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। আর একটি শিশুকে ফেলতে গেলে চিৎকারে তার মা ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলেন। ঘটনায় মারা যায় বছর দুয়েকের একটি শিশু। আর একটি বাচ্চা নীচের শেডে আটকে যাওয়ায় বেঁচে যায়। তবে গুরুতর জখম হয়েছিল সে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শিবকুমার এবং ওই শিশুদের পরিবার একই তলায় পাশাপাশি ঘরে থাকত। সকলেরই ঘরের সামনে সরু বারান্দা। সেখানে খেলা করত বাচ্চাগুলি। অভিযোগ, চিৎকার-চেঁচামেচি, জল ফেলা নিয়ে বিরক্ত হয়ে রাগের মাথায় শিবকুমার বাচ্চাগুলিকে বারান্দা থেকে ফেলে দেয়।
বড়বাজারের ওই ঘটনার পাশাপাশি রিজেন্ট পার্কের তরুণী প্রিয়াঙ্কা পুরকাইতের খুনের ঘটনাতেও সম্প্রতি আলিপুর আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাকেশ হালদার ওরফে জয়ন্তর বিরুদ্ধে খুনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছিল, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই রাকেশ তার প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কাকে খুন করে। খুনে ব্যবহৃত বন্দুকটি সে-ই তৈরি করেছিল। সূত্রের খবর, ফরেন্সিকের রিপোর্ট আসার পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ আনা হবে এবং পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে।
গত ২০ জুন সকালে রিজেন্ট পার্ক থানার পশ্চিম আনন্দপল্লিতে নিজের বাড়িতে খুন হন প্রিয়াঙ্কা। ওই তরুণীর অসুস্থ পিসি পাশেই শুয়েছিলেন। সেই সময়ে বাড়ির পিছনের গেট দিয়ে ঢুকে প্রিয়াঙ্কাকে প্রথমে গুলি, পরে কুপিয়ে খুন করে পালায় রাকেশ।