বিজয় মণ্ডল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদে গিয়েছিলেন আবাসনের এক বাসিন্দা। সেখানেই হঠাৎ তাঁর নজরে পড়ে, ছাদের লিফটের ঘরের বাইরের সিঁড়ির লোহার রেলিং থেকে ঝুলছে এক যুবকের দেহ। ওই ব্যক্তির থেকে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছাদে ছুটে আসেন অন্য বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার পর্ণশ্রী থানা এলাকার ইউনিক পার্কের এক আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম বিজয় মণ্ডল (২১)। আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের বাসিন্দা বিজয় ওই আবাসনের কেয়ারটেকার ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, এই সন্দেহের কারণে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের কারণেই এই মৃত্যু কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই যুবকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর কয়েক আগে বিজয়ের বিয়ে হয়। স্ত্রীকে নিয়ে ওই আবাসনের একতলায় থাকতেন তিনি। ওই আবাসনের মূল দরজা থেকে শুরু করে ছাদের দরজা রাতে বন্ধ করার দায়িত্ব ছিল বিজয়ের উপরেই। কিছুটা দূরে অন্য একটি আবাসনে থাকেন তাঁর মা-বাবা। সেখানে কেয়ারটেকারের কাজ করেন বিজয়ের বাবা প্রতাপ মণ্ডল। ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পরেই বিজয়ের পরিবারের তরফে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন বিজয়। তার পরে স্ত্রী কেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। গোলমালের মধ্যেই বিজয় স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বেরিয়ে যান।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিজয়ের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা লক্ষ্মী মণ্ডল এবং দিদি মৌসুমী সর্দার। মা বলেন, ‘‘ওর স্ত্রীই ওকে শেষ করে দিল। আমি ওর শাস্তি চাই।’’ স্ত্রীকে ঘরে বন্ধ করে রেখে বিজয় বেরিয়ে গেলে তাঁর স্ত্রী কেন পরিবারের বাকিদের খবর দিলেন না, সেই প্রশ্নও তুলছেন মৃতের দিদি মৌসুমী।