প্রতীকী ছবি
এটিএম চালুর দাবি ছিল অনেক দিনের। কিন্তু গড়িমসি করেও মেটেনি সেই দাবি।
নোট বাতিলের পরে পুলিশকর্মীদের আম দরবারে সেই দাবি জোরালো হয়ে উঠল। সেই দাবির জেরেই পৃথক এটিএম চালুর বিষয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করল বিধাননগর কমিশনারেট।
বিধাননগরের নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে জ্ঞানবন্ত সিংহের যোগদানের পরে কার্যত প্রথমবার পুলিশকর্মীদের নিয়ে আম দরবারের কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে পরিকাঠামো-সহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন কর্মীরা। কার্যত সমস্যার কথা স্বীকার করে দাবি মানছেন কর্তারা।
তবে লালবাজারে পুলিশকর্মীদের জন্য পৃথক এটিএম আগেই চালু হয়েছে। কার্যত বিধাননগরের পুলিশকর্মীর একাংশ সেই উদাহরণই তুলে ধরছেন।
অবশ্য বিধাননগরের ডিসি (সদর) নিশাদ পারভেজ বলেন, ‘‘এটিএমের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। চালু করার চেষ্টা চলছে। কবে হবে তা এখনই বলা যাবে না।’’
পুলিশকর্মীদের কথায়, প্রতি এটিএমে দীর্ঘ লাইন। ডিউটির মাঝে অত সময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ পুলিশই ব্যাঙ্ক, এটিএমে মানুষের ভিড় সামলাচ্ছেন।
সম্প্রতি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণের একাংশে অনুষ্ঠিত ওই আম দরবারে প্রায় ২৫০ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহ-সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা কর্মীদের সমস্যা শোনেন। বর্তমান পরিস্থিতির বিচার করে পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এটিএম চালুর বিষয়ে তাঁরা চিন্তাভাবনা করছেন। বিধাননগর পূর্ব থানাকে সাজানোর কাজ চলছে, সেখানেই এটিএম চালুর ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিধাননগর কমিশনারেটে ১৫০০-র বেশি পুলিশকর্মী রয়েছেন। তাঁদের একাংশের মত, বিধাননগর পূর্ব থানায় এটিএমে থাকলে এয়ারপোর্ট ডিভিশনের কর্মীদের সমস্যা হবে। তাই সল্টলেক ও এয়ারপোর্ট ডিভিশনে দু’টি জায়গায় এটিএম চালু প্রয়োজন।
এটিএম ছাড়াও আম দরবারে পরিকাঠামো-সহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন কর্মীরা।
তবে হাওড়া কিংবা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারটেও শুধু পুলিশকর্মীদের জন্য পৃথক এটিএমের বন্দোবস্ত নেই। তাই বিধাননগরের ক্ষেত্রে এমন দাবি কতটা মান্যতা পাবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পুলিশ কর্তাদের একাংশ কথায়, কলকাতা ছাড়া অন্যত্র পুলিশের জন্য পৃথক এটিএমের ব্যবস্থা সে ভাবে নেই। তবে কর্মীদের দাবির যুক্তি রয়েছে। তা রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ স্তরে পাঠানো হবে।