ধৃত দুই প্রতারক। —নিজস্ব চিত্র।
টাকা দিলে পাওয়া যাবে ডলার। দেড় বছর আগে ঠিক এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েই সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল এক দল কেপমার। ডলারের বদলে ব্যবসায়ীর কপালে জুটেছিল বাসন মাজার সাবান।
দেড় বছর বাদে সেই সল্টলেকেই একই কায়দায় অন্য একজনকে ঠকাতে গিয়ে হাতে নাতে পাকড়াও হল দুই প্রতারক।
মহম্মদ রমজান নামে ওই ব্যবসায়ীকে দেড় বছর আগে সল্টলেকের ১০ নম্বর পেট্রল পাম্পের কাছে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই প্রতারক। সেখানে প্রথমে প্রতারকরা প্রথমে একটি ২০ ডলারের নোটকে ৫ হাজার টাকায় বদলে দিয়ে রমজানের বিশ্বাস অর্জন করে।
আরও পড়ুন: কনকের অপসারণ চায় মহিলা কমিশন
লোভে পড়ে রমজান ওই দুই যুবককে ৫০ হাজার টাকা দেয় দ্বিগুণ করে দেওয়ার জন্য।রমজানের সামনেই ওই টাকা দশ ভাগে ভাগ করে ১০টা গিঁট দিয়ে একটা রুমালের মধ্যে বেঁধে সেই রুমাল রমজানের হাতে তুলে দেয় প্রতারকরা। বলে, এক ঘণ্টা পরে সেই রুমালের গিঁটগুলো খুললেই পাওয়া যাবে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া টাকা।
সেই কথা মতো আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে যখন রমজান রুমালের গিঁট খোলেন, সেখানে কয়েক টুকরো বাসন মাজার সাবান আর খবরের কাগজ ছাড়া কিছু ছিল না।
শুক্রবার সকালে রমজান অন্য কয়েক জন বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারেন ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে কয়েক জন টাকা দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। শুনেই সেখানে চলs যান তিনি। দেখেন আগের বার তাঁকে যারা প্রতারণা করেছিল সেই দু’জনই রয়েছে। প্রতারকরাও রমজানকে চিনতে পারেনি। তিনি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় খবর দেন। সাদা পোশাকে পুলিশ আসে। সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ে বারুইপুরের বাসিন্দা রবিন দাস এবং তাঁর সঙ্গী কালিকাপুরের মহম্মদ রফিক।
আরও পড়ুন: ব্রিগেড-পরীক্ষায় কোমর বাঁধছে পুলিশ
ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এ ভাবে কেপমারি করছে দু’জন। দলে আরও কয়েক জন আছে। সল্টলেক, লেকটাউন চত্বরে আরও অনেককে একই ভাবে প্রতারণা করেছে তারা। পুলিশ দু’জনকে জেরা করে দলের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।