প্রতীকী ছবি।
ভিআইপি রোডের তেঘরিয়া মোড়ে পথ দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তা ছাড়াও পর পর ঘটেছে কয়েকটি দুর্ঘটনা। ফলে এ বার নিউ টাউনের ধাঁচে ভিআইপি রোড এবং সল্টলেকে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে বিধাননগর পুলিশ। ইতিমধ্যে সে পরিকল্পনা কার্যকরী করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
চলতি মাসে তেঘরিয়া মোড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রের খবর, তিনি একটি কাট আউটের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে একটি বেসরকারি রুটের বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, বাসস্টপের কাছের লেন মানছে না বাসগুলি। একটি বাস দাঁড়ালে পিছনের গাড়ি সেটিকে ওভারটেক করে চলে যাচ্ছে। সে সময়ে কোনও পথচারী রাস্তা পারাপার করার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যেমনটা তেঘরিয়া মোড়ে হয়েছে।
পুলিশ তাই চাইছে বাসগুলিকে নির্দিষ্ট লেন ধরেই চালাতে। বিশেষত বাসস্টপ এলাকায় নিয়ম না মানলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। একইসঙ্গে সাবওয়ে থাকলেও অনেকে এখনও রাস্তা পারাপার করছেন। সাবওয়ে ব্যবহার করাকে বাধ্যতামূলক করতে তেঘরিয়া মোড়ে রাস্তা পারাপার বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর দিকেও চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই ধরনের পরিকল্পনা নিউ টাউনে কার্যকরী হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তুলনায় আগের চেয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমানো সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করছেন পুলিশ প্রশাসনের একাংশ।
তবে বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, গুরুত্বপূর্ণ মোড় কিংবা জনবহুল মোড়ে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর বিশেষ প্রয়োজন। তবে যেখানে সাবওয়ে নেই, সেখানেও রাস্তা পারাপারের সময়ে নজরদারি বিশেষ প্রয়োজন।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, দুর্ঘটনার কারণগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করে কয়েকটি সমস্যা সামনে এসেছে। সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্রুত সেগুলি কার্যকরী করা হবে।