বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
তোলাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত, বিধাননগর পুরসভার পুরপ্রতিনিধি সমরেশ চক্রবর্তী ওরফে চিন্টুর বাড়িতে নোটিস দিল বাগুইআটি থানার পুলিশ। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমরেশকে থানায় দেখা করতে হবে। প্রসঙ্গত, ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে, পুরো টাকা না পেয়ে এক প্রোমোটারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সমরেশের বিরুদ্ধে। গত রবিবার ওই অভিযোগ দায়ের করেন বাগুইআটি থানা এলাকার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা, পেশায় প্রোমোটার কিশোর হালদার। সেই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সমরেশ ফেরার বলেই দাবি বিধাননগর পুলিশের। গত সোমবার বার তিনেক সমরেশের খোঁজে তাঁর বাড়িতে গিয়েও ফিরে এসেছিল পুলিশ। এর পরে মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে নোটিস ঝোলায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। এ দিকে, এ দিনই ওই পুরপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরে ইমেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন কিশোর।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ওই প্রোমোটার অভিযোগ করেন, রিভলভারের বাট দিয়ে মেরে পুরপ্রতিনিধির লোকজন তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরকে রাস্তায় দেখে
চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই প্রোমোটারের অভিযোগ, তিনি নিজের জমিতে বৈধ নকশা নিয়ে নির্মাণের কাজ করতে চাইলেও সমরেশ ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিলেন। তিনি ২৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও আরও ২১ লক্ষ টাকা আদায় করতে চাইছিলেন সমরেশ। কিশোর জানান, ওই পুরপ্রতিনিধির তাঁর থেকে টাকা চাওয়া সংক্রান্ত কথোপকথনের মধ্যে মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর নামোল্লেখ করা, নির্মাণস্থলে নির্মাণ সামগ্রী ফেলার বরাত চাওয়া, লোক পাঠিয়ে ঝামেলা পাকানো— সব কিছুরই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা রয়েছে। এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো তিনি সংবাদমাধ্যমকেও পাঠিয়েছেন। কিশোর বলেন, ‘‘পুরপ্রতিনিধি কতটা প্রভাবশালী যে, ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারছে না?’’ এ নিয়ে সমরেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে এ দিনও তাঁর ফোন ‘নট রিচেবল’ বলেছে।