ফাইল চিত্র
তিন তালাককে বেআইনি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তা বেআইনি। তা সত্ত্বেও এক মহিলাকে রীতিমতো হলফনামা দিয়ে তিন তালাক দেওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাঁর স্বামী, এক মৌলবি, আদালতের এক নোটারি এবং এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানা। ১৬ মার্চ ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট
দীপাঞ্জন সেন হেয়ার স্ট্রিট থানাকে ওই নির্দেশ দেন।
লুবনা হাসান নামে ওই মহিলার আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাস ও সোমনাথ সান্যাল বুধবার জানান, আদালতে বধূ নির্যাতন, গার্হ্যস্থ হিংসা ও খোরপোশ নিয়ে মামলা চলাকালীন লুবনার স্বামী হাসান মজিদ হলফনামা দিয়ে তিন তালাক দেন। হলফনামাটি গত বছরের ১৩ নভেম্বর ডাক মারফত মহিলার বাড়িতে পাঠানো হয়।
আইনজীবীরা জানান, নতুন আইন অনুযায়ী মৌখিক বা লিখিত ভাবে এবং মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে তিন তালাক দেওয়া আদালতগ্রাহ্য অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হলে তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। লিখিত তিন তালাক পেয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানাতে যান লুবনা। কিন্তু পুলিশ গড়িমসি করায় আদালতে বিষয়টি জানানো হয়। কৃষ্ণচন্দ্রবাবু জানান, আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, ১৪ এপ্রিল তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে।