পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন বাসমালিকেরা। প্রতীকী ছবি।
রাস্তার দু’ধারে কোথাও দুই সারিতে, কোথাও আবার তিন সারিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হত বেসরকারি বাস-মিনিবাস। কমে যেত গাড়ি চলাচলের পরিসর। রাতে ডায়মন্ড হারবার রোডের বেহালা চৌরাস্তা থেকে জোকা পর্যন্ত অংশের চিত্র ছিল এমনই। যার জেরে বাড়ছিল দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এ বার বাসমালিকদের পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাতে বাস দাঁড় করাতে হলেও কোনও ভাবেই একাধিক সারিতে তা করা যাবে না। পাশাপাশি, কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে দু’টি বাসের মধ্যেও। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন বাসমালিকেরা।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার রোড চওড়া হওয়ার পর থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২২ সালে তারাতলা মোড় থেকে জোকা পর্যন্ত অংশে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। সেই সব ঘটনার তদন্তেই সামনে এসেছে লাগামহীন পার্কিংয়ের এই চিত্র। তদন্তকারীরা দেখেছেন, বেহালা চৌরাস্তা থেকে জোকা পর্যন্ত অংশে রাস্তার দু’ধারে রাতে সাতটি রুটের বাস-মিনিবাস দাঁড় করানো থাকে। সব মিলিয়ে সেগুলির সংখ্যা ৭০-এর কাছাকাছি। যেখানে-সেখানে সেগুলি দাঁড় করিয়ে রাখায় গাড়ির গতি যেমন বাধা পায়, তেমনই কোথাও কোথাও গাড়ি যাওয়ার জন্য মাত্র একটি লেন ফাঁকা থাকে। এতে বাড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
এ বার তাই ওই সব বাস যাতে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড় করানো হয়, তার জন্য গাতটি রুটের বাসমালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ড। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের কর্তারাও। ওই বৈঠকেই পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, রাতে বাসগুলিকে একটি সারিতেই রাখতে হবে। কোথাও পথ আটকে বাস দাঁড় করানো চলবে না। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, ডায়মন্ড হারবার রোডের বেহালা চৌরাস্তা থেকে জোকা পর্যন্ত অংশে রাস্তার দু’ধারে পার্কিং ব্যবস্থাকে একটি নিয়মের মধ্যে আনা গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনই রাতের শহরে বাড়বে গাড়ির গতিও।