দেহ উদ্ধারের পরে কেটেছে দু’দিন। কিন্তু জানা যায়নি মৃতার পরিচয়। তাই উদ্ধার হওয়া ওই মহিলাকে শনাক্ত করতে তাঁর দেহের ছবি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাল পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, শনিবার সকালে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বাসন্তী হাইওয়ের পাশে খাল থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় শাড়ি পেঁচানো ছিল। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার দেহে বাইরে থেকে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে ময়না-তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। পরে দেহটি খালের জলে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ জানায়, ওই মহিলার দেহ শনাক্ত করতে প্রথমে আশপাশের বিভিন্ন থানায় মৃতদেহের ছবি পাঠানো হয়। এলাকার কোনও মহিলা বা তরুণী নিখোঁজ কি না, সেই খোঁজও চলছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কোনও থানাই ওই মহিলার পরিচয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানাতে পারেনি। এর পরেই পুলিশ মহিলার ছবি দিয়ে পোস্টার তৈরি করে তা আশপাশের বেশ কিছু এলাকার দেওয়ালে লাগাতে শুরু করে।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিন ঘটনাস্থলে যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা। তাঁরা স্থানীয় থানা এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। খতিয়ে দেখা হয় বাসন্তী হাইওয়ের ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজও। কিন্তু ঘটনাস্থলের কাছে কোনও সিসিটিভি না থাকায় সেই চেষ্টা রাত পর্যন্ত কোনও কাজে
আসেনি। তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার আগের দিন খুন করে তার পরে দেহটি ওই খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই মহিলাকে ওই জায়গাতেই খুন করা হয়েছে, নাকি অন্য কোথাও মেরে তার পরে দেহটি খালে এনে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।