সম্বুদ্ধ ঘোষ
স্কুলের ভিতরে জলে ডুবে মৃত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর দেখভালের দায়িত্ব ছিল এক জন আয়ার উপরে। ঘটনার আগে তিনি শিশুটিকে অন্য পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছে রেখে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু সম্বুদ্ধ ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন পুলিশের আধিকারিকেরা।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতাল চত্বরে প্লে স্কুলের ‘হাইড্রোথেরাপি রুমে’ জলে ডুবে মারা যায় বেহালার বাসিন্দা সম্বুদ্ধ। ঘটনার পরে স্কুলের প্রিন্সিপাল সুদেষ্ণা দত্ত-সহ তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। সূত্রের খবর, প্রিন্সিপাল এবং ওই তিন শিক্ষিকা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০ তারিখ ছিল স্কুলের ক্রীড়া দিবস। অভিভাবকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল তাঁদের ছেলেমেয়েরাও। সম্বুদ্ধের দেখভালের দায়িত্ব ছিল এক জন আয়ার উপরে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তিনি ওই শিশুটিকে কয়েক জন অভিভাবকের দায়িত্বে রেখে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ওই ঘটনা।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে উপস্থিত বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনার সত্যতা খোঁজা হচ্ছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই আয়ার বক্তব্যের প্রাথমিক মিল পাওয়া গিয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই আয়াকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। একই সঙ্গে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিভাবকদের কথাও জানতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গেও চলতি সপ্তাহে কথা বলা হবে।
তবে বন্ধ থাকা ‘হাইড্রোথেরাপি রুম’টি ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০ তারিখ কার নির্দেশে খোলা হয়েছিল, সেই জট সোমবার পর্যন্ত কাটেনি। সূত্রের খবর, ওই ঘরটির চাবির গোছা একটি খোলা জায়গায় রাখা থাকত। কে সেখান থেকে ওই দিন চাবি নিয়ে গিয়েছিলেন, আপাতত সেটাই জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।