—ফাইল চিত্র।
লাগাতার মোটরবাইক দৌরাত্ম্যে কোনও ভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। উল্টে ধরপাকড় করতে গেলে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে পুলিশকেই। সোমবারের পরে মঙ্গলবার রাতেও এমনই একটি পুলিশ হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে চারু মার্কেট থানার টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। অন্য ঘটনায়, পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায় বিনা নম্বর প্লেটের একটি বাইক রাস্তায় উল্টে মারা যান সৌরভ চক্রবর্তী নামে বছর বাইশের এক তরুণ। গুরুতর জখম বাইকের আরও দুই যাত্রী বর্তমানে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক আইন ভাঙা মোটরবাইকের বিরুদ্ধে নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার রাতে টালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে নাকা তল্লাশি চলছিল। সেখানে তখন চারু মার্কেট থানার ওসি-সহ টালিগঞ্জ ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা ছিলেন। রাত বারোটা নাগাদ দেশপ্রাণ শাসমল রোড দিয়ে দ্রুতবেগে একটি মোটরবাইক আসছিল। তাতে চালক-সহ তিন জন আরোহী ছিল। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। পুলিশ বাইকটি থামাতে গেলে প্রথমে টালিগঞ্জ থানার হোমগার্ড প্রতাপকুমার রায়কে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় চালক। পরে ওই মোটরবাইকটিই টালিগঞ্জ ট্র্যাফিক গার্ডের কর্তব্যরত সার্জেন্ট অলোকেশ নস্করের বাইকেও ধাক্কা মারে। মোটরবাইক থেকে কিছু দূরে অলোকেশবাবু থাকায় তাঁর চোট লাগেনি। আহত হোমগার্ডকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাতেই বাইকটির চালক শেখ সাজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধরা হয় শেখ জাকির এবং বিকাশ রায় নামে অন্য দু’জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিন জনই মত্ত অবস্থায় ছিল। অভিযোগ, গত সোমবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছিল মল্লিকবাজার মোড়ে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ছ’জন পুলিশকর্মী। গ্রেফতার হয়েছিল এক হামলাকারী।
মঙ্গলবার রাতের অন্য ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ গার্ডেনরিচ রোড ধরে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় ব্রুক লেনের একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় একটি মোটরবাইক। বাইকটি চালাচ্ছিলেন সৌরভ। তিনি ছাড়াও বাইকে প্রসেনজিৎ সানকি এবং কুণাল চৌধুরী নামে দু’জন আরোহী ছিলেন। সকলকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সৌরভকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন। পুলিশ বাইকটিকে হেফজতে নিয়ে দেখে সেটির কোনও নম্বর প্লেটই নেই। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের মাথায় হেলমেট ছিল না বলেও পুলিশ জানিয়েছে।