প্রতীকী ছবি।
সাত বছরের এক বালিকাকে অপহরণের অভিযোগে এক প্রৌঢ় এবং তার মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম উত্তম দাস এবং মনীষা দাস। তাদের বাড়ি নদিয়ার কল্যাণীতে। সোমবার রাতেই ওই শিশুটিকে কল্যাণী থেকে উদ্ধার করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বালিকাটির মা লিখিত অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, করোনার সময়ে তাঁর স্বামী ব্যবসার জন্য উত্তমের থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা শোধ দিতে না পারায় সম্প্রতি লোকজন নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় উত্তম। ওই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ঘরছাড়া বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মহিলা। অভিযোগকারিণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, দিন দুয়েক আগে উত্তম ও মনীষা তাঁকে শিয়ালদহ থেকে ফোন করে জানায়, ওই অঞ্চলে তাঁর স্বামীকে দেখা গিয়েছে। তাদের কথা মতো স্বামীর খোঁজে শিয়ালদহের একটি হোটেলে আসেন অভিযোগকারিণী। সেই সময়ে তাঁর মেয়েকে চিপস কিনে দেওয়ার নাম করে পাশের একটি দোকানে নিয়ে যায় মনীষা। বেশ কিছু ক্ষণ পরেও মেয়ে না ফেরায় মনীষাকে ফোন করে ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকাও দাবি করা হয়।
মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করেছিল উত্তম ও মনীষা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত এবং অভিযোগকারিণীর পরিবার পরস্পরের পরিচিত। শিশুটি প্রায়ই উত্তমদের বাড়িতে যেত।
যদিও এ দিন আদালত থেকে বেরোনোর সময়ে উত্তম পাল্টা অভিযোগ করে, ‘‘আমার মেয়েকে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছিল ওই মহিলার স্বামী। প্রতারণার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই আমাকে ও আমার মেয়েকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’’