Chingrighata Flyover

সোমবার সকালেও বন্ধ চিংড়িঘাটা সেতু, যানজট ঠেকাতে বাইপাস এড়ানোর পরামর্শ পুলিশের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:২০
Share:

চিংড়িহাটা উড়ালপুল। — ফাইল চিত্র।

সোমবার সকালে বাইপাসে যানজটে আটকে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন অফিসযাত্রী এবং বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা। কারণ সোমবার সকালেও রক্ষনাবেক্ষণ এবং সেতুর বহন ক্ষমতা পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের জন্য বন্ধ থাকবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল। রবিবার দিনভর চিংড়িঘাটা উড়ালপুল নিয়ে কার্যত দড়ি টানাটানি চলে কলকাতা পুলিশ এবং কেএমডিএ আধিকারিকদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, সোমবার দুপুরে যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

শুক্রবার রাত ৯টা থেকে কেএমডিএ-র অনুরোধে, চিংড়িঘাটা সেতুর ভার বহন ক্ষমতা পরখ করার জন্য যান চলাচল বন্ধ করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৮টায় সেতু যান চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের।

চিংড়িঘাটা সেতু দিয়ে সল্টলেক সেক্টর-৫ গামী এবং নিউটাউন-রাজারহাট ও বিমানবন্দরগামী ছোট গাড়ি চলাচল করে। কারণ সেতুর গঠনগত সমস্যা ধরা পড়ায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই সেতুতে বাস লরি-সহ সমস্ত ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ।

Advertisement

আরও পড়ুন: চাঁদে আছড়েই পড়েছে বিক্রম, নিশ্চিত ইসরো প্রধান, তবে হাল ছাড়ছেন না​

শুক্রবার সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর রাতেই ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে যান চলাচলের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। কারণ, চিংড়িঘাটা সেতুতে উঠতে না পেরে সমস্ত গাড়িকে বেলেঘাটা মোড় থেকে ডানদিকে সল্টলেকের মধ্যে ঢুকে সেক্টর-৫ যেতে হয়।

শুক্রবার রাতে কোনও ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও, শনিবার দিনভর বাইপাসে সায়েন্স সিটি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। বাইপাস আটকে সেক্টর-৫ এবং নিউটাউনগামী বিপুল সংখ্যার গাড়ির স্রোত সামলাতে চাপ পড়ে বাইপাসের যান চলাচলে। একই সঙ্গে গাড়ির লম্বা লাইন আটকে পড়ে শহর থেকে বাইপাসমুখী বিভিন্ন সংযোগকারী রাস্তাগুলিতে।

আরও পড়ুন: কালামের জেদেই ভেঙে পড়েছিল ইসরো রোহিনী! ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করেছিলেন এক বছরের মধ্যেই​

পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কেএমডিএ-কে রবিবার রাতের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করে সোমবার ভোরবেলা থেকে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হওয়া দূরে থাক, কেএমডিএ পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সোমবারও সেতু বন্ধ রাখার কথা জানায় পুলিশকে। সূত্রের খবর, সেতু বন্ধ থাকলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন বাইপাসের উপর বিপুল পরিমাণ যানের চাপ সামলানো কঠিন হবে বুঝেই পুলিশ কেএমডিএ-র প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে সেতু খুলে দেওয়ার আবেদন করে। দিনভর এ নিয়ে দু’পক্ষের আলাপ আলোচনার পর বিকালে জট কাটে। কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘‘সোমবার সাড়ে ১১টার আগে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ তার আগে কেএমডিএ কাজ শেষ করতে পারবে না। যদিও তাঁদের সকাল ৮টার মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ করার কথা ছিল।’’

সোমবার সকালে বাইপাসের উপর যানবাহনের চাপ কমাতে কলকাতা পুলিশের পরামর্শ — বাইপাস না ধরে, এজেসি এবং এপিসি রোড ধরার। সেখান থেকে বেলেঘাটা মেন রোড বা নারকেলডাঙা মেন রোডের মতো বাইপাস কানেক্টর রাস্তা ধরে চিংড়িঘাটা ছাড়িয়ে বাইপাসে ওঠার পরামর্শ পুলিশের। তবে তার পরও কতটা যানজট এড়ানো যাবে তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশের কর্তারা।

আরও পড়ুন: একশো দিনে ষাট বছরের কাজ হয়েছে! সাফল্যের ফিরিস্তি দিয়ে দাবি নরেন্দ্র মোদীর​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement