অবরুদ্ধ: এ ভাবেই আটকে যায় নালা। নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ দমদমের একটি ওয়ার্ডে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে কয়েক বছর আগেই। তার ফলই মিলেছে হাতেনাতে। অথচ বিস্তীর্ণ বিধাননগর পুর এলাকায় চলছে প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার।
নতুন পুর বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছর পরেও পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডে এখনও প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার কাজই শুরু হয়নি। প্রতি বছর নিকাশিনালা অবরুদ্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ এই প্লাস্টিক, যা সরাতে বিপুল টাকা খরচ হয়। অথচ সরকারি নির্দেশিকার না মেনে যে ভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে তা বন্ধ করতে কোনও পুর উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়েরা।
হোর্ডিং, ব্যানার দিয়ে সচেতনতার কাজ শুরু করেছিল পুরসভা। তা-ও থেমে গিয়েছে। অভিযোগ মানতে নারাজ পুর কর্তারা। তাঁদের একাংশের দাবি, সচেতনতা প্রসারের পাশাপাশি প্লাস্টিক বন্ধে অভিযানও করে কাজও হচ্ছিল। সাধারণ মানুষ নিয়ম না মানায় ফের প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে।
বাসিন্দাদের দাবি, ৫০ মাইক্রনের প্লাস্টিক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক হলে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধা হয়। প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হলে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে ঠোঙায় জিনিস বিক্রি করা শুরুও হয়েছিল। কিন্তু ক্রেতারা তা নিতে রাজি নন। ফলে তাঁদের দাবিতেই ফিরে এসেছে প্লাস্টিক।
যদিও পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, শুধু সচেতনতার প্রচার করলেই হবে না। ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার মতো নজরদারির পরিকাঠামো বিদাননগর পুরসভার নেই। দেরিতে হলেও নড়ে বসছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। পুর এলাকার বেশ কিছু বাজারে প্লাস্টিক ব্যবহার পুরো বন্ধ হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তাদের। বাজার বা দোকানগুলিতে প্লাস্টিকের বদলে কাপড়ের ব্যাগ সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
নিজেদের পুরো ব্যর্থ মানতে রাজি নয় বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ মানতে নারাজ বিধাননগরের মেয়র পরিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি (মণ্ডল) বলেন, ‘‘সচেতনতার প্রসারের পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান ও জরিমানা করার ফলে সমস্যা অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু সব সময় নজরদারি চালানোর মত পরিকাঠামো তো পুরসভায় নেই। তবে ফের প্লাস্টিক বন্ধের অভিযানে পথে নামবে পুরসভা। প্লাস্টিকের বিকল্প জিনিস নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।’’